পূর্ব তিমুরের অনারারি কনসাল হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেলেন কুতুবউদ্দিন
Published: 16th, January 2025 GMT
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী কুতুবউদ্দিন আহমেদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় মন্ত্রণালয়ের চিফ অব প্রটোকল খন্দকার মাসুদুল আলম কুতুবউদ্দিন আহমেদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি হস্তান্তর করেন।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে তিমুর-লেস্তের সরকার বাংলাদেশে কুতুবউদ্দিন আহমেদকে তাদের অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ দেয়।
শেলটেক গ্রুপ, এনভয় লিগ্যাসি এবং এনভয় টেক্সটাইলস এর চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে তিমুরের অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় চিহ্নিত করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং তিমুর-লেস্তের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করে, উভয় দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির পথ খুলে দিবে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ তিমুর-লেস্তের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ থেকেও উপকৃত হতে পারে।
কুতুবউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের ব্যবসায়িক ও সামাজিক ক্ষেত্রে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ২০২০ সালে তিনি স্পেনের রাজা কর্তৃক স্প্যানিশ রয়্যাল অর্ডার অফ মেরিটের নাইট অফিসার উপাধিতে ভূষিত হন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০২ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান। ২০১৬ সালে তিনি ডিএইচএল- ডেইলি স্টার কর্তৃক ‘বছরের ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব’ স্বীকৃতিতে সম্মানিত হন।
অনারারি কনসাল কুতুবউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং, রিয়েল এস্টেট, কনস্ট্রাকশন, সিরামিকস, এভিয়েশনসহ একাধিক শিল্পে তার দক্ষতা বিস্তৃত। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কনস ল হ স ব
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’