দাদা বাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান
Published: 16th, January 2025 GMT
ঢাকা থেকে গ্রামের দাদা বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজের একদিন পর বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ভোরে শিশু সাফওয়ানের (৫) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে আটক করেছে। উত্তেজিত এলাকাবাসী আটককৃতদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাফওয়ান ওই গ্রামের ইমরান শিকদারের ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা রাখি জানান, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু সাফওয়ান। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে রাতেই গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সাফওয়ানের দাদা বারেক শিকদার। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে স্থানীয় মান্না বেপারীর বিল্ডিংয়ের পিছনের জমির মধ্যে শিশু সাফওয়ানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
আরো পড়ুন:
নারীকে ব্যবহার করে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর টিপুকে হত্যা: পুলিশ
শিশু নাবিলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো.
নিহত শিশুর দাদা বারেক সিকদার বলেন, ‘‘প্রতিবেশী লোকমান চৌধুরীর সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে আমার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার দুপুরে লোকমানের ছেলে রুমানকে আমার নাতির সঙ্গে কথা বলতে দেখেছে স্থানীয়রা।’’
আটককৃত ইউপি সদস্য মোজাম্মেল বলেন, ‘‘বিনাকারণে আমাকে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি মারধর করে গুরুতর আহত করেছে।’’ তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ শিশু সাফওয়ান হত্যার সঙ্গে ইউপি সদস্যের সরাসরি যোগসূত্রের আলামত রয়েছে।
শিশুটির মরদেহ পাওয়ার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশু সাফওয়ানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আটককৃত ইউপি সদস্যকে সেনা ও র্যাবের সহায়তায় থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এলাকাবাসী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছেন।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক ব স সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।