শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মাদ রফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

মোহাম্মাদ রফিকুল আলম বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কি না, সে তথ্য আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেই। তিনি কোন স্ট্যাটাসে সেখানে আছেন, সেটা ভারত সরকারের বিবেচনার বিষয়।” 

ভারতের সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, “ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। কোনো মন্ত্রণালয় ও সংস্থা পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে তা করতে পারে।”

ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশ করা হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হয়েছে, তার সবই প্রকাশিত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গেলে আপনারা দেখতে পাবেন।”

আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “ভারতের সঙ্গে গোপন চুক্তি আছে কি না, আমার জানা নেই।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জুলাই গণহত্যার তথ্য সংগ্রহ করে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মোহাম্মাদ রফিকুল আলম।

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১৯ কূটনীতিককে ফেরত আসতে চিঠি পাঠিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই এসেছেন। যারা আসেননি, তারা ছুটিতে আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টে আহত ১৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। অতিসত্বর আরো ১৪ জনকে পাঠানো হবে।”

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ইস্যুতে তিনি বলেন, “যেসব জায়গায় ১৫০ গজ দূরত্ব মানা হয়নি, তা খতিয়ে দেখা হবে।” 

তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মিশন প্রধান আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ