বিনামূল্যে ব্যথা নিরাময় করবে ঢাবির বায়ো-মেডিকেল
Published: 16th, January 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে ব্যথা নিরাময়ে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ হাত-পায়ের অতিরিক্ত ঘাম ও ব্যথা নিরাময়ে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দেশের সাধারণ মানুষ এ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ দিনব্যাপী এ সেবা প্রদান কার্যক্রম চলবে। বিনামূল্যে সেবা পেতে আগ্রহীরা বিভাগের www.
বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ও প্রাক্তন ছাত্রদের প্রতিষ্ঠিত ‘বাইবিট’ নামে একটি মালিকবিহীন সামাজিক প্রতিষ্ঠান কয়েক বছর ধরে এ ধরনের সেবা প্রদান করে আসছে।
হাত-পায়ের অতিরিক্ত ঘাম ও ব্যথা নিরাময়ে উন্নত বিশ্বে ব্যবহৃত প্রযুক্তির স্থানীয়ভাবে উন্নয়ন ঘটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ এ সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এ সেবা গ্রহণ করে অনেক ভুক্তভোগী স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’