পঞ্চগড়ে শহীদ সাগরের নামে সড়কের নামকরণ
Published: 16th, January 2025 GMT
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ সাগর ইসলামের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের সাতমাইল-ধামেরঘাট সড়কটির নামফলক উন্মোচন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ প্রধান, চাকলাহাট ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, শহীদের বাবা রবিউল ইসলাম ও মা সকিনা বেগম।
শহীদ সাগর ইসলামের বাড়ি চাকলাহাট ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামে। তিনি গত ৫ আগস্ট ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
সাগর ইসলাম (১৯) যখন খুব ছোট তখন বিচ্ছেদ হয় তার মা-বাবার। এরপর বড় হয়েছেন নানীর বাড়িতে। পরিবারে আপন বলতে কেবল মানসিক অসুস্থ্য মা আর বৃদ্ধা নানী। অভাব অনটনের মধ্যেই ২০২২ সালে স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন সাগর। পরে সংসারের হাল ধরতে পাড়ি জমান ঢাকায়। সেখানে একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গিয়ে জীবন দিয়ে আমাদেরকে ঋণী করে গেছেন শহীদ সাগরেরা। আমরা শহীদদের রেখে যাওয়া কাজগুলো করতে চাই। শহীদ সাগর আমাদের অনুপ্রেরণা। এই অনুপ্রেরণা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতেও কোনো ফ্যাসিস্ট জাতির উপর চেপে বসলে আমরা প্রতিহত করতে চাই।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, “নতুন বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমরা তার মাগফিরাত কামনা করছি। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন শহীদ সাগরের পরিবারের পাশে সবসময় রয়েছে।”
ঢাকা/নাঈম/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’