ঢাকাই সিনেমার লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরীমণি। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নানারকম চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্পষ্টবাদী হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদ মানুষের জীবনের অনুষঙ্গ। এসব বিষয়েও তার বক্তব্য পরিষ্কার।

অভিনেতা জয় চৌধুরীর সঙ্গে সিনেমার প্রচারসহ বিভিন্ন আয়োজনে দেখা যায় পরীমণিকে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের চর্চায় মেতেছেন নেটিজেনরা। এ বিষয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন পরীমণি।

আলাপচারিতার একপর্যায়ে অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে-কলকাতা সব জায়গাতেই আপনার পাশে অভিনেতা জয় চৌধুরীকে দেখা যায়! এ কথা শুনেই হেসে ফেলেন পরীমণি। ব্যাখ্যা করে পরীমণি বলেন, “আরে আরে! কী যে বলেন। ও তো আমার বান্ধবীর স্বামী। ওর বউ আমার বন্ধু, আমার বোন। জয় তাই ‘দুলাভাই’, আপনাদের ভাষায় জামাইবাবু।”

আরো পড়ুন:

ছেলেকে নিয়ে ঘুরছেন রাজ, পরীমণি-রাজের সম্পর্কে বরফ গলেছে?

পরীমণির লুকে ‘চমক’

কলকাতায় এই গুঞ্জন না ছড়ানোর অনুরোধ করে পরীমণি বলেন, “সত্যিই আমাদের মধ্যে খুবই মিষ্টি সম্পর্ক। খুব মজা করি আমরা। দোহাই, কলকাতায় আবার এই গুঞ্জনটা যেন ছড়িয়ে দেবেন না! সাংবাদিকদের বড় ভয়।”

পরীমণি আবার প্রেমের সম্পর্কে জড়াবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিত্রনায়িকা বলেন, “আমার প্রেম হলে দেখি অনেকের মনটা ভেঙে যায়। আমি কারো হবো না— তাতে লোকে খুশি। একজনের হলেই বিশাল ব্যথা! তাই অনুরাগীদের জানাচ্ছি, আমি কারো নই বাবা! তোমরা খুশি থাকো (হাহাহা)।”

এদিকে, পরীমণি অভিনীত ‘ফেলুবক্সী’ সিনেমা আগামীকাল ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পাবে। সিনেমাটি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন পরীমণি। তিলি লিখেন, “আগামীকাল ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ আমার প্রথম সিনেমা ফেলুবক্সী রিলিজ হবে! আমার কাছে এই প্রথমটা একটু অন্যরকম স্পেশাল। কারণ, এটা আমার কলকাতার প্রথম সিনেমা। সিনেমা রিলিজ তো নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের মুহূর্ত। কিন্তু মন খারাপ হচ্ছে ভীষণরকম। ভিসাটা হলো নাহ! খুব মিস করছি আমার ফেলুবক্সী টিমের সবাইকে।”

কালকাতার মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে পরীমণি লেখেন, “ডানাকাটা পরী বলেই আজ উড়ে যেতে পারি না। যাইহোক, কলকাতা আমি যেতে পারি নি কিন্তু ফেলুবক্সীর লাবণ্যকে সবাই দেখতে পাবেন আগামীকাল আপনার কাছের সিনেমা হলে। আমি আপনাদের ভালোবাসা পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। প্রিয় কলকাতা ভালোবাসা নিও।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ