দেশব্যাপী তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাঙামাটিতে ১০ দিনব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলার উদ্বোধন হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুস শুক্কুর স্টেডিয়ামে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। 

এসময় রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড.

এস এম ফরহাদ হোসেন, রাঙামাটি রিজিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী পিএসসিসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, “তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তরুণদের নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে এবং পাহাড়ের কৃষ্টি ঐতিহ্যকে সারাদেশের কাছে তুলে ধরতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার মাধ্যমে স্থানীয়দের জন্যও একটি বিনোদনের মাধ্যম সৃষ্টি হয়েছে।” 

পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, “মেলা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলার নিরাপত্তা জন্য সর্বদা পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।” 

মেলায় আসা দর্শনার্থী শোভা চাকমা বলেন, “রাঙামাটিতে বেশ অনেক বছর যাবত বড় কোনো মেলা হয়নি। এইবার লম্বা সময়ের জন্য মেলা আয়োজন হওয়ায় আমরা খুব খুশি।” 

মেলায় বিভিন্ন হাতে তৈরি পণ্য, মাটির তৈজসপত্রসহ নানান পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

ঢাকা/শংকর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ