দু’দিনের ব্যবধানে বাউফলে আরও এক লাশ উদ্ধার
Published: 16th, January 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আব্দুল্লাহ রবি (৫২) নামে আরেক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালি গ্রামের হোগলা খাল থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত লাশের প্যান্টের পকেটে থাকা একটি এনআইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এতে সিরাজগঞ্জ সদরের ইটালী গ্রামের বক্স শেখের পুত্র ও ডাকঘর ভেওয়ামারা লেখা রয়েছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ ট্রাক ও কাভার্টভ্যানের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং-৮১৫) সহকারী পদবী লেখা একটি পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে। লাশের পরনে নীল রংয়ের জিন্সপ্যান্ট ও কোমরে বেল্ট পরা ছিল।
লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামল চন্দ্র দে নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। ওই লাশের পকেটে থাকা এনআইডি কার্ডের তথ্যমতে তিনি বরিশালের কাউনিয়া ওয়ার্ডের জীবন চন্দ্র দের ছেলে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় নদী ও খাল থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । লাশের পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের আত্মীয় স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে । সুরতহাল রিপোর্ট ও আত্মীয়দের অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আটক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যে সংযোজন- বিয়োজনসহ বায়োমেট্রিক জালিয়াতির অভিযোগে সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলম।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন শাখার উপ-পরিচালক তকবির আহমদ ও সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসে। রাতে অফিসে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ডাটা এন্টি অপারেটরকে দেখতে পায় তদন্ত কমিটি। তখন নথিপত্রসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট পর্যবেক্ষণ করে তারা দুর্নীতির তথ্য পান। বিশেষ করে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সংযোজন-বিয়োজন এবং বায়োমেট্রিক জালিয়াতির প্রমাণ পায় তদন্তকারী দল। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা পুলিশকে কল দিয়ে অভিযুক্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলমকে তাদের হেফাজতে দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এ প্রতিবেদককে জানান, নির্বাচন কমিশনের তদন্তকারী দলসহ তারা সরেজমিনে গিয়ে দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দুজনকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি রুল আমীন বলেন, দুজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।