সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে ঝুলছে ‘দ্য রিমান্ড’!
Published: 16th, January 2025 GMT
জুলাই আন্দোলন নিয়ে পরিচালক আশরাফুল আলম নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘দ্য রিমান্ড’। নির্মাণ কাজ শেষে চলচ্চিত্রটি সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সার্টিফিকেশন বোর্ড সিনেমাটির পরীক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনো সনদপত্র পায়নি বলে জানিয়েছেন সিনেমাটির প্রযোজক বেলায়েত হোসেন। তবে খুব শিগগির ছাপড়পত্র পাবেন বলে আশাবাদী এই প্রযোজক।
‘দ্য রিমান্ড’ সিনেমার অন্যতম চরিত্র রূপায়ন করেছেন পারভেজ আবির চৌধুরী। তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতন ঘটেছে। এটা বাঙালিদের অনন্য অর্জন। এই অর্জনকে দালিলিক রূপ দিতে পরিচালক আশরাফুল রহমান ভাই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। আমি এই সিনেমার একটা অংশ হতে পেরে গর্বিত।”
আরো পড়ুন:
আমার এখানে এসে ভণ্ডামি করছেন কেন, প্রশ্ন শাবনূরের
‘তিন বছর বিশ্বাস করতাম আমি মরে গেছি’
“১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ‘ওরা ১১ জন’ যেমন প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, আগামী প্রজন্মের কাছেও ‘দ্য রিমান্ড’ জুলাই বিপ্লবের পর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। প্রযোজক চান সিনেমাটি দ্রুত সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে।” বলেন আবির।
সম্প্রতি বাংলা একাডেমিতে ‘ফ্যাসিজম মুক্ত বাংলাদেশে স্বাধীন শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান ও ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্রের অংশ বিশেষ প্রদর্শনের অনুমতি নেওয়া হয়। কিন্তু সিনেমাটি প্রদর্শনের পূর্ব মুহূর্তে আলোচনা অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
আক্ষেপ করে অভিনেতা পারভেজ আবির চৌধুরী বলেন, “বাংলা একাডেমিতে সিনেমাটি প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েও শেষ মুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়া হয় অজানা কারণেই। অন্যদিকে, সেন্সর বোর্ডও সনদ দিচ্ছে না। আমরা দর্শকদের সিনেমাটি দেখাতে চাই।”
‘দ্য রিমান্ড’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— জাকিয়া বারী মম, পারভেজ আবির চৌধুরী, সালহা খানম নাদিয়া, লুৎফর রহমান জর্জ, কাজী হায়াৎ, মারুফ আকিব প্রমুখ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’