জুলাই আন্দোলন নিয়ে পরিচালক আশরাফুল আলম নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘দ্য রিমান্ড’। নির্মাণ কাজ শেষে চলচ্চিত্রটি সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সার্টিফিকেশন বোর্ড সিনেমাটির পরীক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনো সনদপত্র পায়নি বলে জানিয়েছেন সিনেমাটির প্রযোজক বেলায়েত হোসেন। তবে খুব শিগগির ছাপড়পত্র পাবেন বলে আশাবাদী এই প্রযোজক।

‘দ্য রিমান্ড’ সিনেমার অন্যতম চরিত্র রূপায়ন করেছেন পারভেজ আবির চৌধুরী। তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতন ঘটেছে। এটা বাঙালিদের অনন্য অর্জন। এই অর্জনকে দালিলিক রূপ দিতে পরিচালক আশরাফুল রহমান ভাই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। আমি এই সিনেমার একটা অংশ হতে পেরে গর্বিত।”

আরো পড়ুন:

আমার এখানে এসে ভণ্ডামি করছেন কেন, প্রশ্ন শাবনূরের

‘তিন বছর বিশ্বাস করতাম আমি মরে গেছি’

“১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ‘ওরা ১১ জন’ যেমন প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, আগামী প্রজন্মের কাছেও ‘দ্য রিমান্ড’ জুলাই বিপ্লবের পর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। প্রযোজক চান সিনেমাটি দ্রুত সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে।” বলেন আবির।

সম্প্রতি বাংলা একাডেমিতে ‘ফ্যাসিজম মুক্ত বাংলাদেশে স্বাধীন শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান ও ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্রের অংশ বিশেষ প্রদর্শনের অনুমতি নেওয়া হয়। কিন্তু সিনেমাটি প্রদর্শনের পূর্ব মুহূর্তে আলোচনা অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।

আক্ষেপ করে অভিনেতা পারভেজ আবির চৌধুরী বলেন, “বাংলা একাডেমিতে সিনেমাটি প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েও শেষ মুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়া হয় অজানা কারণেই। অন্যদিকে, সেন্সর বোর্ডও সনদ দিচ্ছে না। আমরা দর্শকদের সিনেমাটি দেখাতে চাই।”

‘দ্য রিমান্ড’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— জাকিয়া বারী মম, পারভেজ আবির চৌধুরী, সালহা খানম নাদিয়া, লুৎফর রহমান জর্জ, কাজী হায়াৎ, মারুফ আকিব প্রমুখ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ