Samakal:
2025-04-02@19:51:45 GMT

মেক্সিকান নারীদের গল্প

Published: 16th, January 2025 GMT

মেক্সিকান নারীদের গল্প

মেক্সিকোর কুখ্যাত এক মাদকসম্রাট এমিলিয়া পেরেজ। তাঁর জীবনজুড়ে আছে অসংখ্য অপরাধ, ক্ষমতার লড়াই এবং প্রতিশোধের গল্প। হঠাৎ একদিন এমিলিয়া নিজের পুরুষ পরিচয় থেকে নারীতে রূপান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমন গল্প নিয়ে ফরাসি নির্মাতা জ্যাক অঁদিয়ার বানিয়েছেন ‘এমিলিয়া পেরেজ’। এই রূপান্তরের পেছনে এমিলিয়ার লক্ষ্য ছিল নতুন পরিচয়ে জীবন শুরু করা এবং অপরাধ জগৎ থেকে বেরিয়ে আসা।

কিন্তু তাঁর এ সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন মুক্তির স্বাদ দেয়, অন্যদিকে তাঁকে আরও গভীর সংকটেও ফেলে। পুরোনো পরিচয় তাঁকে ছেড়ে যেতে চায় না এবং শত্রুরা তাঁর নতুন পরিচয় আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যায়। এই চরিত্র ছাড়াও এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে আরও তিন প্রতিষ্ঠিত নারীর গল্প। যারা নিজের মতো করে সুখী হতে চায়।

সিনেমাটি নিয়ে শুরুতে ততটা আলোচনা না হলেও, গত বছর কান উৎসবে ছবিটির প্রিমিয়ারের পর প্রশংসিত হয়েছিল। এ ছবির অন্যতম চার নারীর ভূমিকায় অভিনয়ের সুবাদে আদ্রিয়ানা পাজ, কার্লা সোফিয়া গাসকোন, সেলেনা গোমেজ ও জোয়ি সালদানা– এই চারজন কানের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।  এরপর থেকেই ছবিটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়। কিন্তু এই মিউজিক্যাল কমেডি যে এতটা সমাদৃত হবে, কে ভেবেছিল! গোল্ডেন গ্লোবে সর্বোচ্চ ১০টি মনোনয়ন পায় সিনেমাটি। মনোনয়নের মতোই গোল্ডেন গ্লোবের মূল আসরে সর্বোচ্চ চার পুরস্কার জিতেছে ‘এমিলিয়া পেরেজ’।

হলিউডের একাধিক চলচ্চিত্র সমালোচকরা সিনেমাটিকে শুধু একটি অপরাধ জগতের গল্প নয়, এটি একজন মানুষের পুনর্জন্ম এবং নিজেকে খুঁজে পাওয়ার গল্প হিসেবেও বলেছেন। সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কার্লা সোফিয়া গাসকোন। চলতি গোল্ডেন গ্লোবের ইতিহাসে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার নারী হিসেবে সেরা অভিনেত্রী (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি) বিভাগে মনোনীত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন। তাই পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে তিনি বলেন, ‘অন্ধকারকে দমিয়ে আলো সবসময়ই জয়ী হয়। আমাদের প্রাণ, অস্তিত্ব কিংবা পরিচয় কেড়ে নিতে পারবে না কেউই।’

চিত্রনাট্য, অভিনয় আর নির্মাণের কারণে রটেন টোমাটোজে ছবিটির গড় রেটিং ৭৬ শতাংশ। বেশির ভাগ সমালোচকই ছবিতে কার্লা সোফিয়া গাসকোনের অভিনয়কে অন্যতম সেরা বলে রায় দিয়েছেন। টাইম সাময়িকীর মতে, ‘এটা খ্যাপাটে একটা ছবি, নিঃসন্দেহে বছরের সেরা মিউজিক্যাল।’ কেবল পেশাদার সমালোচকরাই নন, গত বছর ছবিটির প্রশংসা করেছেন অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ, এমিলি ব্লান্ট, ইভা লঙ্গোরিয়া, গায়িকা ম্যাডোনা, নির্মাতা গিয়ের্মো দেল তোরো, মাইকেল মানরা। টাইম, সাইট অ্যান্ড সাউন্ডসহ বিভিন্ন সাময়িকী গত বছরের সেরা ছবির তালিকায় রেখেছিল ‘এমিলিয়া পেরেজ’কে।

ছবিটি নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। বিশেষ করে মেক্সিকোতে। দেশটির নানা নেতিবাচক বিষয় তুলে ধরায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক রোষের মুখে পড়েন নির্মাতা। দেশটির অনেক চিত্রসমালোচকও মনে করেন, ছবিতে মেক্সিকোর বিষয়গুলো খুব হালকাভাবে উঠে এসেছে। এ ছাড়া মেক্সিকোর পরিপ্রেক্ষিতে ছবি হলেও প্রায় সব অভিনেত্রীই অন্য দেশের, এটা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে।

সমালোচনার পাশাপাশি এত প্রশংসা, পুরস্কার আর মনোনয়ন অঁদিয়ারের জন্য বাড়তি প্রাপ্তি বলে মনে করছেন। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নির্মাতা বলেন, ‘এটা খুবই সময়োপযোগী কাজ, সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে বক্তব্য আছে। এটা এমন একটা কাজ, যা আমি চাইলে ১০ বছর আগে বানাতে পারতাম না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই অস্থির সময়ে আশা করি ‘এমিলিয়া পেরেজ’ হবে আলোর বাতিঘর।’
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধির টেলিকনফারেন্স

যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওং বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উচ্চ প্রতিনিধি) ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করেছেন। দুই কর্মকর্তা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ।

মার্কিন সরকার সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে এবং জাতিসংঘকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র জুলাই বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশের ছাত্রী প্রতিবাদী নেতাদের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ