শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর ধানমন্ডির বাংলাদেশ আই হসপিটালের শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহেদারা বেগমকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ ডা. শাহেদারা বেগমকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। 

শুনানিতে অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বলেন, “৩৫ বছরের ডাক্তারি জীবন তার। তিনি সিনিয়র ডাক্তার। বামের বদলে ডান চোখে চিকিৎসা করার অভিযোগ। শিশুটির চোখে পাপড়ি ঢুকে গেছে। সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, বাম চোখেও একই অবস্থা। মারাত্মক কিছু না। জামিনযোগ্য ধারা। গুরুতর অভিযোগ নেই। তার জামিন প্রার্থণা করছি।” শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আদেশ দেন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মাহমুদ হাসানের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এজাহারে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার দেড় বছর বয়সী এক শিশুর চোখে তিনি (চিকিৎসক) ভুল অপারেশন করেছেন। শিশুর বাম চোখে সমস্যা, অথচ ওই চিকিৎসক ডান চোখে অপারেশন করেছেন।

ঘটনার বিবরণ থেকে জানা গেছে, শিশুর চোখে ময়লা জাতীয় কোনো বস্তুর অস্তিত্ব টের পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু, অস্ত্রোপচারের সময় ঘটে বিপত্তি। দেড় বছর বয়সী শিশু ইরতিজা আরিজ হাসানের বাম চোখের বদলে ডান চোখে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক। পরে দুঃখ প্রকাশ করে আবারও বাম চোখে অস্ত্রোপচার করেন ডা.

শাহেদারা বেগম।

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ