গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এর মাধ্যমে শেষ হতে যাচ্ছে দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। চুক্তিটি কার্যকর হবে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে। 

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির খবরে গাজাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে এলেও নিরাপদ বোধ করতে পারছেন না তারা। তাদের শঙ্কা, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগের ৭২ ঘণ্টায় গাজায় তীব্র হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর মিশ্র অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন গাজাবাসীরা। একদিকে যুদ্ধবিরতির স্বস্তি, অন্যদিকে হামলা জোরদারের শঙ্কা। তার ওপরে তো স্বজন হারানো শোক রয়েছেই। 

আরো পড়ুন:

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যা বলছেন বিশ্বনেতারা

যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৪০

গাজার বাসিন্দাদের শঙ্কা, চুক্তিটি আগামী রবিবার থেকে কার্যকর হবে- এর অর্থ হলো এখনও ৭২ ঘণ্টা সময় আছে। এ সময়ে ইসরায়েলি বিমান হামলা আরো জোরদার হতে পারে।
 

ফিলিস্তিনিরা বুঝতে পারছেন যে চুক্তিটি আগামী রবিবার কার্যকর হবে। এর অর্থ হল আমাদের কাছে এখনও ৭২ ঘন্টা আছে যা .

.. বিমান হামলা এবং উত্তেজনায় পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং কাতারি কর্মকর্তারা চুক্তিটি ঘোষণা করার পর আজ সকালে এটি শুরু হয়েছিল।

ফিলিস্তিনিরা জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরেও তারা আকাশে ইসরায়েলি ড্রোন ও যুদ্ধবিমান দেখেছে; যা মাটিতে থাকা সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।

বেসামরিক লোকেরা এখনও উপত্যকায় হামলার মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে ভীত হয়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। 

গত ২৪ ঘন্টায়, গাজায় আবাসিক ভবন ও বেসামরিক সমাবেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বেসামরিক বাসিন্দারা খোলা জায়গায় বা যেকোনো ধরনের বিপদের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় থাকা এড়িয়ে নিরাপদ থাকার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

এদিকে হামাস কর্মকর্তা খলিল আল-হায়া বলেছেন, “ফিলিস্তিনিরা মনে রাখবে কারা তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে, কারা গণমাধ্যমে নৃশংসতার ন্যায্যতা প্রমাণ করেছে এবং কারা তাদের ঘরবাড়িতে বোমা ফেলেছে।”

বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি আরো বলেন, “ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং তার সমর্থকরা ৪৬৭ দিন ধরে যে বর্বর যুদ্ধ চালিয়েছে ... তা আমাদের জনগণ এবং বিশ্বের স্মৃতিতে আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ গণহত্যা হিসেবে চিরকাল খোদাই করা থাকবে।”

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুক লাইভে এসে নিরাপত্তা চাইলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা

বাড়িঘরে হামলা ও প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলার আহ্বায়ক মীর ইছহাক হোসেন ইখলাস। ফেসবুক লাইভে এসে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দাবি করেছেন তিনি।

সোমবার রাত ১০টায় নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে ৫ মিনিটের লাইভে হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মীর ইছহাক। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, দীর্ঘ রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। অথচ আজও তাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। ৫ আগস্টের পর আট মাস কেটে গেলেও আসামিরা তাঁর বাড়িতে এসে রাতের আঁধারে হামলার চেষ্টা করছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতার অভিযোগ, সদর উপজেলার মেস্টা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বদরুল হাসান বিদ্যুতের পরিবার তাঁর বাড়িতে হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত। বিদ্যুতের বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাই মিলে তাঁর গ্রামের বাড়িতে হামলা করতে গিয়েছিলেন। এ সময় তারা তাঁকে গুম বা খুন করার হুমকি দিয়েছেন।

ইখলাস প্রশ্ন তোলেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হয়েও যদি নিরাপত্তা না পান, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, কেন তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে?

লাইভে তিনি বলেন, পরিকল্পনা থাকলেও ওই রাতে হামলা ঠেকানো গেছে। তবে হামলাকারীরা এখনও আত্মগোপনে থেকে তাঁকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বাবা-মাকে গ্রামে হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে, তাদের জীবন এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এ সরকার ও তার দোসররা এখনও তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। পুলিশ ও প্রশাসন কিছুই করছে না। হামলার পরিকল্পনাকারী বিদ্যুৎকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, সেটা জানতে চাই। তাহলে অপরাধীরা কি টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে?’

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে উদ্দেশ করে ইখলাস বলেন, ‘আপনি বারবার এই আসামিদের সুযোগ দিচ্ছেন, যা আমাদের ওপর হামলার সুযোগ করে দিচ্ছে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। তিনি জীবন দিয়ে হলেও চান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক।

আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সল মো. আতিক জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবীনগরে হেফাজতের কমিটি নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ
  • ফেসবুক লাইভে এসে নিরাপত্তা চাইলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা
  • চানখাঁরপুলে গণহত্যার মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য ২৫ মে তারিখ ধার্য
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি
  • আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি
  • ৯০ দিনের মধ্যে গণহত্যার বিচার ও অবিলম্বে আ.লীগের নিবন্ধন বাতিল দাবি
  • আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপে সন্তুষ্ট নন শিক্ষার্থীরা
  • আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীরা
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৩
  • জুলাই সনদ প্রণয়নের পর দ্রুতসময়ে নির্বাচনে একমত খেলাফত মজলিস-এনসিপি