তানজিদের লড়াই, লিটনদের সাজঘরে ফেরার তাড়ায় অলআউট ঢাকা
Published: 16th, January 2025 GMT
সিলেট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রানের ফোয়ারা ছোঁটানো ঢাকা ক্যাপিটালস বন্দর নগরী চট্টগ্রামে গিয়ে বাজে ব্যাটিং করেছে। ফ্রেশ উইকেটে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ বল থাকতে মাত্র ১৩৯ রানে অলআউট হয়েছে লিটন দাস-তানজিদ তামিমদের দল।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। লিটন ও তানজিদে ৪.
এরপরই মুনিম শাহরিয়ার, সাব্বির রহমান, থিয়াসা পেরেরাদের সাজঘরে ফেরার তাড়া শুরু হয়। ৪৮ রানে ৩ উইকেট থেকে ১০০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে অভিনেতা শাকিব খানের দল ঢাকা। অন্য প্রান্তে জাতীয় দলের তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিম একা লড়াই করেছেন। তিনি ফিফটি পেলেও অন্যদের ব্যর্থতায় অল্প রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা।
তানজিদ তামিম খেলেন ৪৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস। ১৭তম ওভারে আউটের আগে তিনি চারটি ছক্কার সঙ্গে দুটি চারের শট খেলেন। সিলেট পর্ব শেষে যৌথভাবে সর্বাধিক ১৬ ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। এবার উঠে গেলেন সবার ওপরে। তিনে নামা মুনিম শাহরিয়ার ও ছয়ে নামা অধিনায়ক থিসারা পেরেরা শূন্য করে ফিরে যান। ১১ বলে ২০ রান করে ফারমানুল্লাহ শাফি রানটা এগিয়ে নিতে সাহায্য করেন।
তামিম ইকবালের দল ফরচুন বরিশালের হয়ে উইকেট শিকারি বোলিং করেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। তিনি ৩ ওভারে ৩৯ রান দিলেও নেন ৩ উইকেট। ফাহিম আশরাফ ৩.২ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। রিশাদ হোসেনের এই ম্যাচের একাদশে জায়গা হয়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয়ের সেঞ্চুরির ফিফটি, মোহামেডান-আবাহনীর জয়
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড। তাদের জয়ের দিনে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও। এই সেঞ্চুরিতে বিজয় একটি রেকর্ডও গড়েছেন। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট এ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০টি সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
বিকেএসপিতে তাদের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ আগে ব্যাট করতে নেমে সাইফ হাসানের ৫২, তানজিদ হাসানের ৬৮, আফিফ হোসেনের ৩২ ও আকবর আলীর ২৯ রানে ভর করে ৩৯.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।
গাজী গ্রুপের শেখ পারভেজ জীবন ৭ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। ওয়াসি সিদ্দিকী নেন ২টি উইকেট।
আরো পড়ুন:
মোহামেডানে খেলবেন মোস্তাফিজ
শীর্ষে এনামুল-রাকিবুল
রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত ১১০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে গাজী গ্রুপ। বিজয়ের ইনিংসে ১০টি চারের পাশাপাশি ১টি ছক্কার মার ছিল। এছাড়া সালমান হোসেন ইমন ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ ও সাদিকুর রহমান করেন ৩৬ রান। ম্যাচসেরা হন বিজয়।
এদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অগ্রণী ব্যাংক আগে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের ৪১, অমিত হাসানের ৪০, ইমরানুজ্জামানের ৩৮ ও মার্শাল আইয়ুবের ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪২ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪০ রান তোলে।
বল হাতে মোহামেডানের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৯ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। এবাদত হোসেন ৮ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আর মোস্তাফিজুর রহমান ৯ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে রনি তালুকদারের ১০০ বলে ১০টি চার ও ৫ ছক্কায় খেলা অনবদ্য ১২২ ও আনিসুল ইসলাম ইমনের ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৬.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে।
মোহামেডানের ৩টি উইকেটই নেন অগ্রণী ব্যাংকের আরিফ আহমেদ। ম্যাচসেরা হন মোহামেডানের রনি।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫০ রানের দারুণ জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। তারা আগে ব্যাট করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ৮৩, মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৫, জিশান আলমের ২৬ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ২৬ রানে ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ২৭৮ রানে অলআউট হয়।
বল হাতে গুলশানের রায়হান আলী ইকরাম ও ফরহাদ রেজা ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান।
জবাব দিতে নেমে নিহাদুজ্জামান ৭৩ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৫০ ওভারে তারা অলআউট হয় ২২৮ রানে।
নিহাদুজ্জামান ছাড়া সাকিব শাহরিয়ার ৪২, শাহাদত হোসেন সবুজ ৩৫ ও মেহেদী হাসান ২৫ রানের ইনিংস খেলেন।
বল হাতে আবাহনীর এসএম মেহরব, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।
৮৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন আবাহনীর ইমন।
ঢাকা/আমিনুল