চলছে শীতকাল। এক যুগ আগেও এমন সময়ে গ্রামে-গঞ্জে জারি-সারি গানের আসর বসত। যে আসরে নামি দামি বয়াতিরা নানা রঙে ঢঙে গান গেয়ে মাত করতেন। এখন তা কেবল অতীত! তবে মাঝে মাঝে এখনও গ্রামে তেমন আসর বসে। তাতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয় মানুষের মাঝে। 

সম্প্রতি নওয়াগ্রাম দক্ষিণপাড়ায়  জারি গানের বিশাল আয়োজন করা হয়। যেখানে গান পরিবেশ করেন বয়াতি রওসন আলি ও  নাসিমা আক্তার সাথী।  গানে গানে তারা শরিয়ত মারেফতের বিষয়েও আলাপ করেন।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন নড়াইল ভিকটোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম। 

স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে হওয়া আয়োজনটির পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন  পুরুলিয়া ইউনিয়নের  ২ নং ও  ৩ নং ওয়াডের বর্তমান মেম্বার মোঃজিয়ার মোল্ল্যা ও সাবেক মেম্বার মোঃ সেলিম মোল্ল্যা ও এলাকার লাভলু মোল্ল্যা। 

আয়োজনটিতে কালিয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ