Samakal:
2025-01-31@12:11:09 GMT

জনম জনম ধরে...

Published: 16th, January 2025 GMT

জনম জনম ধরে...

স্বপ্নে বুনন যাওয়ায় বারণ নেই। এও সত্য যে, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করা সহজ নয়। আবার অসম্ভবও নয়। সেটি জানা আছে বলেই নিজের প্রতি বিশ্বাস ধরে রেখেছেন কণ্ঠশিল্পী আতিয়া আনিসা। কখনও সস্তা জনপ্রিয়তার স্রোতে গা ভাসাননি। বরাবরই চেয়েছেন, শ্রুতিমধুর গান গেয়ে শ্রোতার ভালোবাসা কুড়িয়ে নিতে।

প্রতিটি আয়োজনে চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজের সেরা গায়কী তুলে ধরার। সেই সুবাদে যদি বুনে যাওয়া স্বপ্নগুলো একে একে পূরণ হয়ে যাচ্ছে তরুণ এ শিল্পীর। তাঁর কৈশোরের বাসনা, নন্দিত শিল্পী ও সংগীতায়োজক হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে গাওয়ার; যা এরই মধ্যে পূরণ হয়েছে। হাবিবের সঙ্গে গাওয়া ‘হোক বাড়াবাড়ি’ ও ‘কোন খেয়ালে’ শিরোনামে দুটি গান গেয়ে শ্রোতার মনোযোগও কাড়তে পেরেছেন।

হাবিব ছাড়াও শিল্পী ইমরানের সঙ্গে গাওয়া দ্বৈত গান ‘মেঘেরই খামে’, তাঁর ও আরেফিন রুমির ‘খুব আদরে’, আসিফ আকবরের সহশিল্পী হিসেবে গাওয়া ‘ভালোবাসি তোমাকেই’সহ আরও বেশ কিছু গান প্রশংসা কুড়িয়েছেন শ্রোতার। এ ছাড়াও সংগীতপ্রেমীর মনে ছাপ ফেলেছে ‘বেহায়া মন’, ‘আয়না বায়না’, ‘জাদুর আয়না’ ও ‘চুপিচুপি ভালোবাসি’সহ আরও কিছু একক ও দ্বৈত গান। একইভাবে প্লেব্যাকের ইচ্ছাও অপূর্ণ থাকেনি এ শিল্পীর। প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে ‘যদি একদিন’ সিনেমায় শিরোনাম গান এবং ‘চুপকথা’, ‘শাহেনশাহ’র ‘তুই আমি চল’, ‘পাপ পুণ্য’র ‘তোর সাথে পথ’, ‘পরাণ’-এর ‘চলো নিরালায়’, ‘দিন: দ্য ডে’র ‘তোকে রাখব খুব আদরে’সহ আর কিছু গান গেয়ে সাড়া ফেলেছেন শ্রোতাদের মাঝে। শুধু তাই নয়, স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারের প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও উঠেছে তাঁর ঝুলিতে।

২০২২ সালে ‘পায়ের ছাপ’ সিনেমায় গাওয়া ‘এই শহরের পথে পথে’ গানের জন্য পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। অবশ্য আতিয়া আনিসার ভক্তদের জন্য এ সবই পুরোনো খবর। নতুন খবর হলো, ‘জংলি’ সিনেমায় নন্দিত গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে প্লেব্যাকের সুযোগ হয়েছে এ শিল্পীর। তাহসানের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া ‘জনম জনম’ শিরোনামের গানটি সংগীতায়োজন করেছেন সময়ের আরেক আলোচিত শিল্পী ও সংগীতায়োজক ইমরান মাহমুদুল। নতুন এ গানটি প্রকাশ পাবে আগামী ভালোবাসা দিবসে। এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত আতিয়া।

তাঁর কথায়, ‘কিংবদন্তিতুল্য সুরকার প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে; যার কালজয়ী গানগুলো শুনে শুনে বেড়ে ওঠা, সেই প্রিন্স মাহমুদের সুরে প্লেব্যাকের সুযোগ পাওয়ায় আমি গর্বিত। তাঁর সুরে গাওয়ার পাশাপাশি অনেক কিছু শেখারও সুযোগ হয়েছে। ভালো লাগার আরেকটি বিষয় হলো প্রিন্স মাহমুদের ‘জনম জনম’ গানের সহশিল্পী হিসেবে তাহসান খান এবং মিউজিক অ্যারেঞ্জার হিসেবে ইমরানকে পাওয়া। এর মাধ্যমে শিল্পীজীবনের আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো। আমি চাই, এভাবেই স্বপ্ন পূরণের মধ্য দিয়ে আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে। তাই যতদিন গাইতে পারব, মন-প্রাণ উজাড় করে গাইব। গানে গানেই শ্রোতা হৃদয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ