এক থেকে তিরিশ পর্যন্ত গুণতে গুণতে একটু হেঁটে নিলে কেমন হয়?— চিকিৎসকেরা বলছেন দিনে ৩০ মিনিট হাঁটতে। কিন্তু একবারে ৩০ মিনিট হাঁটার সুযোগ বা সময় অনেকেরই হয় না। কেউ কেউ কাজের ফাঁকে একটু পায়চারি করেন কিন্তু তিরিশ মিনিট হাঁটতে না পারার মানসিক চাপ অনুভব করেন। তার মনে হতে পারে, নিয়ম মেনে হাঁটা হলো না। ৩০ মিনিট হাঁটতে না পারাকে ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ মনে হয়। যাদের একটানা ৩০ মিনিট হাঁটার সুযোগ নেই তাদের জন্য সুখবর হলো ৩০ সেকেন্ড হাঁটলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

নতুন একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে, একটানা হাঁটার চেয়ে মাঝেমধ্যে কাজের ফাঁকে ১০ বা ৩০ সেকেন্ড হাঁটাহাঁটি করলে ক্যালোরি খরচের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর হয়। এই হাঁটাকে বলা হচ্ছে ‘মাইক্রো ওয়াকিং’। এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কয়েক জনকে কয়েক মিনিট হাঁটানো হয়। বাকিদের সেকেন্ডের হিসাবে হাঁটতে বলা হয়। গবেষকরা দেখেন যে, যারা ১০ বা ৩০ সেকেন্ডে হেঁটেছেন কয়েক মিনিটের হাঁটার চেয়ে তাদের ক্যালোরি খরচ হচ্ছে অন্তত ৬০ শতাংশ বেশি। 

ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটির ‘বায়োলজিক্যাল সায়েন্স’ জার্নালে গবেষক ফ্র্যান্সিসকো লুসিয়ানো এবং তার সহকর্মীরা বলছেন, সারা দিনে সময় ভাগ করে হাঁটায় দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে দৈনিক এনার্জি বা শক্তির খরচও এতে বেশি হচ্ছে। গাড়ির ক্ষেত্রে তেল খরচের উদাহরণ তুলে তিনি বলছেন, স্বল্প দূরত্বের যাত্রায় যেমন গাড়ির তেল খরচ বেশি হয়, অথচ দীর্ঘ এবং দ্রুত গতির যাত্রায় তেল খরচ অনেকটাই কমে যায়, বিষয়টি ঠিক তেমন।

আরো পড়ুন:

শীতে কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরে যা ঘটে

এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা

এর আগেও হাঁটা নিয়ে একাধিক গবেষণালব্ধ তথ্য প্রকাশ হয়েছে। তাতেই বলা হয়েছে, ৩০ মিনিট হাঁটা শরীরের জন্য ভালো হলেও, তা যে এক বারেই হাঁটতে হবে এমন নয়। বরং তা ভাগে ভাগেও হাঁটা যায়।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৩০ স ক ন ড ৩০ ম ন ট হ

এছাড়াও পড়ুন:

বইমেলা উপলক্ষে ঢাবিতে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল

অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বইমেলায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যে বিধি-নিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না।

তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

ঢাকা/সৌরভ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ