আহত সাইফকে অটোরিকশায় দ্রুত হাসপাতালে নেন ছেলে ইব্রাহিম
Published: 16th, January 2025 GMT
অভিনেতা সাইফ আলি খান গতকাল রাতে তার নিজ বাড়িতে দুষ্কৃতিকারীর আক্রমণে গুরুতর আহত হন। গাড়ি না পেয়ে সময় নষ্ট না করে ইব্রাহিম তার আহত বাবাকে একটি অটোরিকশায় করে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
৫৪ বছর বয়সী সাইফকে ছয়টি ছুরিকাঘাত করা হয়, যার একটি ছিল তার মেরুদণ্ডের কাছে। রক্তক্ষরণরত অবস্থায় তাকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান তার বড় ছেলে, ২৩ বছর বয়সী অভিনেতা ইব্রাহিম আলি খান। হাসপাতালটি সাইফের বান্দ্রার বাড়ি থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। ঘটনার পর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে সাইফের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানকে বাড়ির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। খবর- এনডিটিভি
সাইফের বাড়ির পক্ষ জানা যায়, চুরির করার চেষ্টা থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও মুম্বাই পুলিশ আক্রমণকারীকে "অনুপ্রবেশকারী" হিসেবে উল্লেখ করেছে, তবে এখনো চুরির উদ্দেশ্য নিশ্চিত করেনি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে আক্রমণকারী বাড়ির ভেতরে দুই ঘণ্টা আগে প্রবেশ করে লুকিয়ে ছিল। পুলিশের সন্দেহ, আক্রমণকারী বাড়ির এক কর্মচারীর সাহায্যে প্রবেশ করেছিল। ওই কর্মচারীকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার পর বলিউড মহলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিনেত্রী পূজা ভাট জানিয়েছেন, তিনি আগে কখনো এতটা অনিরাপদ অনুভব করেননি এবং বান্দ্রায় পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধী দল সরকারকে কড়া সমালোচনা করেছে। তারা প্রশ্ন তুলেছে, যদি সেলিব্রিটিরাই নিরাপদ না থাকেন, তবে সাধারণ মুম্বইবাসীদের নিরাপত্তা কোথায়?
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ র ক ঘ ত আহত
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৪ সালে দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক যাত্রী এসেছে ১ কোটি ৮৭ লাখ, বেড়েছে ৯%
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এখন বিশ্বের অন্যতম বহুজাতিক শহর। প্রতিবছরই এই শহরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের আগমন বাড়ছে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে দুবাই শহরে ১৮ দশমিক ৭২ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৮৭ লাখ আন্তর্জাতিক যাত্রী এসেছেন।
দুবাইয়ের অর্থনীতি ও পর্যটন বিভাগের সূত্রে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ২০২৩ সালে তুলনায় ২০১৪ সালে দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৯ শতাংশ। এই সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হিসেবে বলা হয়েছে, দুবাই শহরের কৌশলগত বিনিয়োগের সুযোগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বৈশ্বিক নানা সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি।
আরব আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুবাই শহরের এই পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধির মূল কারণ হলো দুবাই ইকোনমিক এজেন্ডা ৩৩। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুবাই শহরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অবকাশ যাপনের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। বিশেষ করে দুবাইয়ের আবাসন খাত বিশ্বের ধনীদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিশ্বের প্রায় সব সেলিব্রিটি এখন দুবাই শহরে বাড়ি কিনেছেন।
দুবাই শহরে আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমন বৃদ্ধির সঙ্গে হোটেলের ধারণক্ষমতা বেড়েছে। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দুবাই শহরে ৮৩২টি হোটেলে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৬টি কক্ষ ছিল। এই শহরের হোটেলগুলোর গড়পড়তা কক্ষ বুকিংয়ের হার ৭৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগপ্রত্যাশী নীতির কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দেশটি আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য অনেকটা দরজা খুলে বসে আছে। দুবাই শহরে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকলেই তিনি সেখানে বাড়ি কিনতে পারেন। এর বাইরে আর কিছু খোঁজে না আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ। সে কারণে দুবাই এখন সাধারণ বহুজাতিক নয়, বরং তা বিদেশিদের শহর হয়ে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মিলিয়নের বেশি বা ৩০ লক্ষাধিক মানুষের দুবাই শহরে আমিরাতিরা চূড়ান্ত সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে, তারা এখন মাত্র ৮ শতাংশ।
ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির হিসাব অনুযায়ী, দুবাইয়ে সম্পত্তির বাজারের আকার ৫৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ আছে বিদেশি মালিকানায়। সার্বিকভাবে আবাসন খাতের বিদেশি মালিকের হার এর বেশিও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুবাইয়ে বিদেশিদের মালিকানাধীন সম্পত্তির মূল্য অন্তত ১৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। দুবাইয়ের অফশোর সম্পত্তির বাজার ব্যাপ্তির দিক থেকে এখন লন্ডনের দ্বিগুণের বেশি, যদিও দুবাইয়ের মোট জনসংখ্যা লন্ডনের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশের কিছু বেশি।