জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‌‘বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী। এটা আমাদের অঙ্গীকার। ন্যায্য স্বাধীনতা চাই। আমরা সীমাহীন ওয়াদা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। যে স্বাধীনতা অপরের চরিত্র হরণ করে, মিথ্যা গুজব ছড়ায়, মানুষের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ায়- আমরা এমন রাজনীতি করতে চাই না।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা জেলার নোমানী ময়দান মাঠে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা শিখে হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজে বেড়াছে। শিক্ষা জীবন শেষ হলে যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের চাকরি  নিশ্চিত করা হবে। আমরা কাউকে ঘুষ দিই না, ঘুষ নিতেও দেব না। আমাদের সন্তানেরা জীবন দিয়েছে, আমরা তাদের স্বপ্নকে ধূলিস্যাৎ হতে দেব না। 

মাগুরা জেলা জামায়াতে আমীর অধ্যাপক এম বি বাকেরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও যশোর কৃষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আব্দুল মতিন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক জেলা আমীর অধ্যাপক ড.

আলমগীর বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মাওলানা বদরুউদ্দিন, গণঅধিকারের সভাপতি বরকতুল্লাহ, কৃষিবিদ গ্রুপের এম ডি ও ঢাকাস্থ মাগুরা ফোরামের পরিচালক ড. আলী আফজাল, সাবেক ছাত্রনেতা আলমগীর হাসান রাজু, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাড আজমতুউল্লাহ, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি আমিন উদ্দিন আশিক। 

 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মনিরামপুরের মৌমাছি বাড়ি!

বাড়িটি ঘিরে রেখেছে মৌমাছির ছোট বড় অনেকগুলো মৌচাক। বারান্দাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুলছে ২৩টি মৌমাছির বড়বড় চাক। এসব মৌমাছি বছরের আটমাস ধরে থাকে বাড়িটিতে। বাড়িটি এখন এলাকায় মৌমাছি বাড়ি হিসেবে পরিচিত।

কেউ মৌমাছি দেখতে, আবার কেউবা ছবি তুলতে যান বাড়িটিতে। পরিবারের সদস্যদের মতোই মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করছে মৌমাছি। প্রাকৃতিকভাবে বনের মৌমাছি আর পরিবারটির সদস্যদের মাঝে এই ভালোবাসার বন্ধন গড়ে উঠেছে ছয় বছর আগে।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শেখ পাড়া খানপুর গ্রামের ইসাহক আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন নিজ বাড়িতে সন্তানের মতো লালন-পালন করছেন মৌমাছির ২৩টি দলকে। পরিবারটির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে কয়েক লাখ মৌমাছি। 

আলমগীর হোসেন বলেন, “ছয় বছর আগে হঠাৎ বাড়ির বিভিন্ন স্থানে সাত-আটটি চাক তৈরি করে মৌমাছির দল। এরপর থেকে প্রতি বছরই নির্দিষ্ট সময়ে মৌমাছির দলগুলো বাড়িতে চলে আসে এবং চাক তৈরি করে।” 

তিনি আরও বলেন, “দোতলা বাড়ির বারান্দা, দেওয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে চাক তৈরি করে মৌমাছিরা। বছরান্তে চাকের সংখ্যা বাড়ছে। এবার ২৩টি চাক বেঁধেছে মৌমাছির দল। আমাদের পরিবারেরই অংশ তারা। মৌমাছির সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা মিশে গেছে। আমার বাবা বেশিরভাগ সময় তাদের দেখাশোনা করে। তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে কিনা দেখে, আমিও দেখি। মৌমাছিরাও কাউকে হুল ফোটায় না।”

তিনি বলেন, “প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে চলে আসে মৌমাছি গুলো। এভাবে চলছে গত ছয় বছর ধরে। আট মাসে দুইবার মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করি। বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মধু বিক্রি হয়।”

আলমগীরের ফুফু আছিয়া খাতুন বলেন, “প্রথম দিকে ভয় পেলেও এখন আর ভয় লাগে না। কেননা মৌমাছি আমাদের কাউকে আক্রমণ করে না।” 

মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, “এটি মেইলিসিরা প্রজাতির মৌমাছি। এই মৌমাছি প্রকৃতি ও পরিবেশ বোঝে। যেখানে নিরাপত্তা, বাঁচার পরিবেশ ও খাবারের ভালো সুব্যবস্থা থাকে সেখানেই মূলত তারা বাসাবাঁধে। এগুলো সুন্দরবনের মৌমাছি। এক বছর যেখানে বাসা বাঁধে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর চলে যাওয়ার সময় সেখানে কিছু আলামত রেখে যায়। পরের বছর সেখানেই ফিরে আসে।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মনিরামপুরের মৌমাছি বাড়ি!