প্রায় ১২ বছর আগে ঢাকার সাভারে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জাহিদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নির আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন-পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানার সারেংকাঠির মৃত মোশারফ কাজীর ছেলে কাজী আহসান তাকবীর, রংপুরের কোতোয়ালি থানার আলমনগর খামারের মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে কাজল ও সাভারের বন পুকুর এলাকার মৃত আরব উল্লাহর ছেলে লাল চান।

দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

আসামিদের মধ্যে কাজলকে রায় ঘোষণার আগে আদালতে হাজির করা হয়। সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের সঙ্গে জাহিদ হোসেনের পূর্ব থেকে শত্রুতা ছিলো। এরই জেরে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই বেলা আড়াইটার দিকে লাল চান তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। সাভার থানাধীন আড়াপাড়ার হিজলা পাড়া হেলালের বাড়ির সামনে নিয়ে ওই তিন জনসহ আরো কয়েকজন জাহিদকে কুপিয়ে জখম করে। পরে লোকজন উদ্ধার করে তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাহিদ হোসেন।


এ ঘটনায় তার বাবা হাজী মো.

আনোয়ার হোসেন সাভার থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ঢাকা জেলার গোয়েন্দা শাখা উত্তরের উপ-পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ