মাটি খুঁড়তে বেরিয়ে এল মর্টার শেল
Published: 16th, January 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি মর্টার সেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, মর্টার শেলটি বিস্ফোরিত না অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়েছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর গ্রাম থেকে মর্টার সেলটি উদ্ধার করা হয়। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘গাছ লাগানোর জন্য মাটি খুঁড়লে মর্টার সেলটি পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/রুবেল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় স্মৃতিসৌধে আগামীকাল শ্রদ্ধা জানাবে এনসিপি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এর পর সাভার থেকে রায়েরবাজারে গিয়ে অভ্যুত্থানের সময় শহীদ হওয়া ছাত্র-জনতার কবর জিয়ারত করবেন এনসিপির নেতারা। এর মধ্য দিয়ে দলটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
সাভার ও রায়েরবাজারের কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন। সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের অভ্যুত্থানের সময় শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে দলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে দলের নির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা হতে পারে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের মধ্য দিয়ে এনসিপির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর পর শনিবার গভীর রাতে ২১৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে বাম ও ডানপন্থী সাবেক ছাত্রনেতাসহ বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ জায়গা পেয়েছেন। ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী থেকে আসা মানুষের পাশাপাশি নতুন এই দলের কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন দলিত-হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও।
জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এখন জায়গা খোঁজা হচ্ছে। কার্যালয় ঠিক হওয়ার আগপর্যন্ত আপাতত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই এনসিপির দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
দল ঘোষণার পর এনসিপি এখন নিবন্ধনের শর্ত পূরণের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ভাবছে। সে জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক কার্যালয় করার কথা ভাবছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা।
এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সব সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য।’
এনসিপিকে রাজনীতিতে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে থাকা সেকেন্ড রিপাবলিক ও গণপরিষদ নির্বাচনের প্রসঙ্গটি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি করেছে।
দল ঘোষণার পরদিন ঢাকায় এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘যারা গণপরিষদের বিষয় সামনে আনছে, যারা সেকেন্ড রিপাবলিকের বিষয় সামনে আনছে, হয় তারা বোঝে না অথবা বুঝেও আমাদের এই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে আরও দীর্ঘায়িত অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মধ্যে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র আছে।’
সর্বশেষ গত রোববার রাজধানীতে এক ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি এখনো বুঝি নাই সেকেন্ড রিপাবলিক কী। কী বোঝায়, আপনারা বুঝেছেন কি না, জানি না? অর্থাৎ, একটা অছিলা ধরে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। দয়া করে খেয়াল রাখবেন।’
বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ নিয়ে নানা বক্তব্য দেওয়া হলেও এনসিপি এখন পর্যন্ত এসব বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।