ছুরিকাঘাতে আহত বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। এখন বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছে ‘রেস’ তারকার টিম।

অস্ত্রোপচারের পর সাইফ আলী খানের টিম একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে সাইফ আলীর শারীরিক অবস্থার বর্ণনা করে বলা হয়েছে, “সাইফ আলী খানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এখন তিনি বিপদমুক্ত। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।”

সাইফ আলী খানের পরিবারের অন্য সদস্যদের তথ্য জানিয়ে এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সাইফ আলী খানের পরিবারের সবাই নিরাপদে আছেন। এ ঘটনার তদন্ত করছেন পুলিশ। ডা.

নীরাজ উত্তমণি, ডা. নিতিন, ডা. লীনা জৈন এবং লীলাবতী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। তা ছাড়া সাইফ আলী খানের ভক্ত-অনুরাগী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ, যারা তাদের প্রিয় অভিনেতাকে নিয়ে চিন্তিত ও প্রার্থনা করছেন।”

আরো পড়ুন:

সাইফের ওপরে হামলা, উদ্বিগ্ন তারকারা

সাইফের ওপর হামলার সময়ে কোথায় ছিলেন স্ত্রী-পুত্ররা?

এর আগে কথা বলেন লীলাবতী হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী ডা. নীরাজ উত্তমণি। তিনি বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাইফ আলী খানকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে ছয়টা আঘাতের চিহ্ন আছে। তার মধ্যে দুটো আঘাত বেশ গভীর। একটি আঘাত সাইফের শিরদাঁড়ার কাছে। আমরা তার অস্ত্রোপচার করছি।”

গতকাল বুধবার মধ্যরাতে সাইফের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে একদল দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। দুর্বৃত্তরা একাধিকবার সাইফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

তথ্যসূত্র: মিড-ডে

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ