অস্ত্রোপচারের পর কেমন আছেন সাইফ আলী খান?
Published: 16th, January 2025 GMT
ছুরিকাঘাতে আহত বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। এখন বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছে ‘রেস’ তারকার টিম।
অস্ত্রোপচারের পর সাইফ আলী খানের টিম একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে সাইফ আলীর শারীরিক অবস্থার বর্ণনা করে বলা হয়েছে, “সাইফ আলী খানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এখন তিনি বিপদমুক্ত। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।”
সাইফ আলী খানের পরিবারের অন্য সদস্যদের তথ্য জানিয়ে এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সাইফ আলী খানের পরিবারের সবাই নিরাপদে আছেন। এ ঘটনার তদন্ত করছেন পুলিশ। ডা.
আরো পড়ুন:
সাইফের ওপরে হামলা, উদ্বিগ্ন তারকারা
সাইফের ওপর হামলার সময়ে কোথায় ছিলেন স্ত্রী-পুত্ররা?
এর আগে কথা বলেন লীলাবতী হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী ডা. নীরাজ উত্তমণি। তিনি বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাইফ আলী খানকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে ছয়টা আঘাতের চিহ্ন আছে। তার মধ্যে দুটো আঘাত বেশ গভীর। একটি আঘাত সাইফের শিরদাঁড়ার কাছে। আমরা তার অস্ত্রোপচার করছি।”
গতকাল বুধবার মধ্যরাতে সাইফের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে একদল দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। দুর্বৃত্তরা একাধিকবার সাইফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
তথ্যসূত্র: মিড-ডে
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’