সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে কোথায় যাচ্ছেন নেইমার? এই প্রশ্ন অবশ্য ফুটবলপ্রেমীদের মনে বার বার আসছে। অনেক ক্লাবের সঙ্গেই নেইমারের যোগাযোগ হচ্ছে। তবে তাদের বেশিরভাগই মেজর লিগ সকারের।

অবশ্য নেইমারকে দলে নেওয়ার দৌড় থেকে ইতোমধ্যে ইস্তফা দিয়েছে ইন্টার মায়ামি। তাদের নতুন আর্জেন্টাইন কোচ জাভিয়ের মাসচেরানো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই মুহূর্তে নেইমারকে দলে ভেড়ানোটা তাদের জন্য একপ্রকার অসম্ভব। তাতে অবশ্য ফুটবলপ্রেমীরা বার্সেলোনার সেই মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ ত্রয়ীকে আবার মায়ামিতে দেখার যে স্বপ্ন দেখছিল সেটাতে আপাতত ইস্তফা দিতে হচ্ছে।

অবশ্য মায়ামি সরে দাঁড়ানোয় এমএলএম’র অন্যান্য ক্লাবগুলো কাড়াকাড়ি শুরু করেছে নেইমারকে নিয়ে। সেই তালিকায় সবার উপরে আছে শিকাগো ফায়ার এফসি’র নাম। ক্লাবটি নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ গ্রেগ বারহল্টারকে। তার তত্ত্বাবধানে ঢেলে সাজাতে চেষ্টা করছে দলকে। সেখানে তারকা ফুটবলার হিসেবে নেইমারকে নিতে চাচ্ছে তারা।

আরো পড়ুন:

নতুন ক্লাবে যাচ্ছেন নেইমার

নেইমারের চোট নিয়ে যা জানালো আল হিলাল

বাকি দুইটি ক্লাবের নাম অবশ্য সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নেইমারকে দলে ভেড়াতে।

২০২৩ সালে নেইমার ৯৭.

৬ মিলিয়ন ডলারে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে যোগ দেন আল হিলালে। কিন্তু সৌদি আরবের ফুটবল জার্নিটা তার মোটেও ভালো হয়নি। একের পর এক ইনজুরির কারণে তিনি অধিকাংশ সময়ই থেকেছেন মাঠের বাইরে।

হিলালে যোগ দিয়েই এসিএল ইনজুরিতে পড়েন নেইমার। অক্টোবরে ফেরার পর পরই তিনি আবার হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়েন। নেইমার আল-হিলালের হয়ে মাত্র সাত ম্যাচ খেলেছিলেন। কেবল এক গোল করেছিলেন এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে।

ইনজুরির পরও নেইমার বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাথলেট হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। বিশেষ করে আমেরিকানদের কাছে। সে কারণেই এমএলএস’র ক্লাবগুলো ব্রাজিলিয়ান এই স্ট্রাইকারকে দলে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে।

নেইমার ২০০৯ সালে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ব্রাজিলের ক্লাব সাও-পাওলোর হয়ে। ক্লাবটির হয়ে জিতেছিলেন কোপা লিবার্তাদোরেস। এরপর ২০১১ সালে যোগ দেন বার্সেলোনায়। সেখানে যোগ দিয়ে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মেসি, সুয়ারেজ, জর্ডি আলবা, সার্জিও বুসকেটসদের সঙ্গে জিতেছিলেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। দুটি জিতেছিলেন লা লিগার শিরোপা। আর তিনটি জিতেছিলেন কোপা ডেল রের শিরোপা।

২০১৭ সালে পিএসজিতে যোগ দিয়ে পাঁচটি ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান শিরোপা, তিনটি ফ্রেঞ্চ কাপ ও দুটি ফ্রেঞ্চ লিগের শিরোপা জিতেছিলেন নেইমার। ২০২১ সালে তার সঙ্গে পিএসজিতে যোগ দেন মেসিও।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেইমার ব্রাজিলের হয়ে কাফুর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২৮ ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন রেকর্ড ৭৯টি। যা ব্রাজিলের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে তিনি ব্রাজিলকে স্বর্ণ জিতিয়েছিলেন।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবশ য ইনজ র

এছাড়াও পড়ুন:

আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার বুমরাহ

আইসিসির বর্ষসেরা (২০২৪) পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেড, জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে। জিতে নিয়েছেন ‘স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি-২০২৪’। এর আগে তিনি আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ভারতের পঞ্চম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন বুমরাহ। তার আগে ২০০৪ সালে রাহুল দ্রাবিড়, ২০১০ সালে শচীন টেন্ডুলকার, ২০১৭ সালে রবীচন্দ্রন অশ্বিন এবং ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বিরাট কোহলি জিতেছিলেন এই পুরস্কার।

২০২৪ সালে বল হাতে লংগার ভার্সন ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের বেশ ভুগিয়েছেন বুমরাহ। মাত্র ১৩ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ৭১ উইকেট। তাতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় যথারীতি ছিলেন শীর্ষে। ১১ টেস্টে ৫২ উইকেট নিয়ে টেস্টে তার পরে ছিলেন ইংল্যান্ডের গাস অ্যাটকিনসন। শুধু তাই নয়, চতুর্থ ভারতীয় বোলার হিসেবে বুমরাহ এক বছরে ৭০+ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছিলেন। তার আগে রবীচন্দ্রন অশ্বিন, অনীল কুম্বলে ও কপিল দেব এক বছরে নিয়েছিলেন ৭০ উইকেট।

আরো পড়ুন:

ক্রিকেটারদের চেক বাউন্স, ম‌্যানেজার বললেন, ‘আমি এখনও পাইনি টাকা’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ
উইন্ডিজকে উড়িয়ে বাংলাদেশের ১০ উইকেটে জয়

২০২৪ সালে নিজের মাস্টারক্লাস স্কিল ও কনসিসটেন্সি দেখিয়ে উইকেটের পর উইকেট তুলে নিয়েছেন। এ যাত্রায় তিনি টেস্টে ২০০ উইকেট শিকারের মাইলফলকও স্পর্শ করেছিলেন। টেস্ট বোলিং র‌্যাংকিংয়ে রেকর্ড ৯০৭ রেটিং পয়েন্ট ছুঁয়ে সেরা হয়েছেন। যা ভারতের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার বুমরাহ