সাইফের ওপরে হামলা, উদ্বিগ্ন তারকারা
Published: 16th, January 2025 GMT
গতকাল রাতে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় তারকারা।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার চিরঞ্জীবী তার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লেখেন, “বাড়িতে ঢুকে সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার খবরে গভীরভাবে মর্মাহত। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
এ ঘটনার পর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী-নির্মাতা পূজা ভাট। এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “এই অরাজকতা কি বন্ধ করা যায় মুম্বাই পুলিশ। বান্দ্রাতে আরো বেশি পুলিশের উপস্থিতি প্রয়োজন। এই শহর, বিশেষ করে শহরতলীর রানী কখনো এতটা অনিরাপদ ছিল না।”
আরো পড়ুন:
সাইফের ওপর হামলার সময়ে কোথায় ছিলেন স্ত্রী-পুত্ররা?
সাইফ পুত্রের সঙ্গে মেয়ের প্রেম নিয়ে যা বললেন শ্বেতা
মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) দেওয়া পোস্টে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন ‘ট্রিপল আর’খ্যাত অভিনেতা জুনিয়র এনটিআর। তিনি লেখেন, “সাইফ স্যারের ওপর হামলার খবর শুনে হতবাক এবং ব্যথিত। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
অভিনেতা-নির্মাতা কুনাল কোহলি লেখেন, “এই ঘটনায় বিস্মিত এবং ভীত। সাইফের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা।”
গতকাল বুধবার মধ্যরাতে সাইফের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে একদল দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। দুর্বৃত্তরা একাধিকবার সাইফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’