সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের নিন্দা, তদন্তের নির্দেশ
Published: 16th, January 2025 GMT
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অন্তর্বর্তী সরকার ১৫ জানুয়ারি বুধবার এনসিটিবির সামনে একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানায়। সরকার এই আক্রমণের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে এই সম্পর্কিত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং শিগগিরই তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। সকল দুর্বৃত্তকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এতে আরও বলা হয়, “জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকার স্পষ্ট ভাষায় পুনর্ব্যক্ত করে যে, বাংলাদেশে গণসহিংসতা, জাতিগত ঘৃণা এবং অন্ধবিশ্বাসের স্থান নেই। সরকার সতর্ক করে যে, যারা সুরক্ষা, শান্তি এবং আইনশৃঙ্খলার ক্ষতিকর কার্যকলাপে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কোনো বৈষম্য ছাড়াই।”
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’