শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচার: সেই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
Published: 16th, January 2025 GMT
রাজধানীর ধানমন্ডির বাংলাদেশ আই হসপিটাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটে শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচারের ঘটনায় হাসপাতালের চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্ট্র্যাবিসমাস সার্জন ডা. শাহেদারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ মাসুদ জানান, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মো.
মামলার বাদী জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ইরতিজার চোখের সমস্যা নিয়ে তারা বাংলাদেশ আই হসপিটালে যান। বাম চোখের মধ্যে ময়লা জাতীয় কিছুর অস্তিত্ব নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। সেদিনই রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার অস্ত্রোপচার করেন শাহেদারা বেগম। তবে সেখান থেকে বের করার পর তারা দেখতে পান বাম চোখের জায়গায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ডান চোখে। তখন বিষয়টি শাহেদারাকে জানালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং পুনরায় ইরতিজার বাম চোখে অস্ত্রোপচার করেন।
তিনি আরও জানান, ড. শাহেদারা বেগম ভুল চিকিৎসার বিষয়টি মৌখিকভাবে স্বীকার করলেও তা নথিভুক্ত করেননি। পরে তিনি ও তার সহকর্মীরা কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’