পূবালী ব্যাংকে প্রথম নারী ডিএমডি সুলতানা সরিফুন নাহার
Published: 16th, January 2025 GMT
পূবালী ব্যাংক পিএলসি. পরিচালনা পর্ষদ সুলতানা সরিফুন নাহারকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি এই পদে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম নারী, যা ব্যাংকের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
ডিএমডি পদে নিয়োগের পূর্বে সুলতানা সরিফুন নাহার ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় মহাব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। একইসঙ্গে তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৭ সালে সুলতানা সরিফুন নাহার পূবালী ব্যাংকে প্রবেশনারি সিনিয়র অফিসার হিসেবে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তিনি তার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছেন। তিনটি কর্পোরেট শাখাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি পেশাগত দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার পরিচয় দেন। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের অঞ্চল প্রধান হিসেবে শাখাসমূহের ব্যাংকিং সেবার মানোন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সুদীর্ঘ পেশাগত জীবনে সুলতানা সরিফুন নাহার দেশে-বিদেশে অসংখ্য সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ ও আম্বিয়া খাতুনের সন্তান সুলতানা সরিফুন নাহার ব্যক্তিজীবনে দুই পুত্রের গর্বিত জননী। তিনি Global Senior Citizens Scout Club, DUA এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আজীবন সদস্য।
ঢাকা/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’