একটি দিবস পালন করতে হলেও তো কিছু না কিছু করতে হয়, অথচ আজ এমন একটি দিবস যে দিবস উপলক্ষে আপনার কিছুই করার নেই। আজ কোনো পরিকল্পনা রাখার দরকার নেই| কেন জানেন?— আজ ১৬ জানুয়ারি `নাথিং ডে’ বা ‘কিছু না দিবস’।
এই দিবসের প্রয়োজনীয়তা প্রথম অনুভব করেছিলেন মার্কিন কলামিস্ট হ্যারল্ড কফিন। তিনি ১৯৭২ সালে কিছু না দিবসের প্রবর্তন করেন। আর তার এই আইডিয়া লুফে নেন অনেকেই। দিবসটি মনে করিয়ে দেয়, সব সময় সব কিছু করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এমনকি দিবসটি উদযাপনে বিশেষ কোনো প্রস্তুতি দরকার পড়ে না।
একান্তভাবে দিনটি কাটাতে পারে। আরাম, আয়েশ করতে পারেন। কেউ যদি প্রশ্ন করে, কী হতে চাও? অনায়াসে বলে দিতে পারেন ‘কিছু না’। কেউ যদি আপনার প্ল্যান জানতে চায় তাকেও বলে দিতে পারেন, কিছু না।
আজ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনো কাজই করার দরকার নেই!— দিনটি মূলত আপনাকে অহেতুক ছুটে চলার গতি কমাতে চায়। অতিরিক্ত প্রত্যাশা থেকে বের করে এনে একটি স্বস্তি দিতে চায়। বছরের একটি দিন না হয় এভাবেই যাক।
সূত্র: ডেইস অব দ্য ইয়ার
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’