হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত সানজিদা আক্তার (৩০) নামে এক নারী মারা গেছেন। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো রোগী মারা গেলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় বলে জানা গেছে।  

সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.

আরিফুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গত ১২ জানুয়ারি সানজিদার এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। জানা যাচ্ছিল ওই নারীর বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস ছিল না। ২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৮ জন আক্রান্ত।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভির বিস্তার ঠেকাতে গত সোমবার বিশেষ নির্দেশনা জারি করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। 

নির্দেশনায় এইচএমপিভির বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিমানবন্দরের যাত্রী, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কারও মধ্যে জ্বর, কফ, শ্বাস ছোট হওয়ার মতো এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাকারী দেশি ও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এবং যেসব দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী রয়েছে, সেসব দেশ থেকে যাত্রী আনার ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিমানের ভেতর যদি কারও মধ্যে জ্বর, কফের মতো এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এইচএমপ ভ র

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে নসিমন বিলের পানিতে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত

গোপালগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি নসিমন বিলের পানিতে পড়ে সদানন্দ বালা (৩৫) ও নিরঞ্জন পান্ডে (৩৫) দুইজন শ্রমিক নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরো দুইজন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সদানন্দ বালা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভোজেরগাতি গ্রামের কমল বালার ছেলে ও নিরঞ্জন পান্ডে কোটালীপাড়া উপজেলার পোলসাইর গ্রামের হরশিত পান্ডের ছেলে।

ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, একটি নসিমনে বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি বোঝাই করে কয়েকজন শ্রমিক শেওড়াবাড়ি থেকে কাজুলিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় নসিমনটি কাজুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে চালক অপর একটি ভ্যানকে সাইড দিতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিলের পানির মধ্যে পড়ে যায়। এতে নসিমনের নিচে পড়ে পানিতে ডুবে ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিক সদানন্দ ও নিরঞ্জন নিহত এবং অপর দুইজন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি আরো জানান, আবেদনের প্রক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে নিহতদের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

ঢাকা/বাদল/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ