রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে আটক প্রেমিক, হামলায় নিহত তরুণ
Published: 16th, January 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্রেমের ঘটনার জেরে হামলায় নুরুননবী (২০) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আরও ৮-১০ জন আহত হন।
নিহত নুরুননবী ওই গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, ফরিদের প্রতিবেশী এক কিশোরীর সঙ্গে সিপাহিপাড়ার সাগর নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি মঙ্গলবার রাতে ওই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ফেরার পথে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে ফরিদুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাগরকে আটক করে। পরে মেয়ের বাবার কাছে তাঁকে বুঝিয়ে দিয়ে রাত ১২টার দিকে ফরিদুল সেখান থেকে চলে যান।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হোসেন প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেন, এ ঘটনার জেরে সম্মানহানির অভিযোগ তোলে মেয়ে ও ছেলের পরিবার। তারা একত্রে রাতেই ফরিদুল আলমের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় নুরুননবী, কালা বাশি, সাইফুল, ফরিদ, ইব্রাহীম, মুকসুদ, নুর, তারেকসহ আরও কয়েকজন আহত হন।
এলাকাবাসী আহত ব্যক্তিদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক নুরুননবীকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেল ৫টার দিকে মরদেহ সেখান থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কেউ মামলা না করলেও ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’