বাগেরহাটের মোংলায় সড়কের ওপর রাখা পাথরের সাথে নসিমনের ধাক্কায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মোংলা-পেরিখালী সড়কের চাপড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা ওয়াজেদ আলী শেখের ছেলে রোকন উদ্দিন (৬০) ও খুলনার দাকোব উপজেলার বানিশান্তা এলাকার মৃত জাফর মোল্লার ছেলে দিদার মোল্লা (৩২)। এছাড়া আহতদের সবার বাড়িও সোনাইলতলা এলাকায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, পাশের জেলা খুলনার লাউডোপ এলাকা থেকে ধান কেটে নছিমনে করে বাগেরহাটের মোংলার সোনাইলতলা গ্রামে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কয়েকজন কৃষক। পথে চাপড়া এলাকায় সড়কের ওপর রাখা পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সছিমন উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ দুইজন মারা যান। এ ঘটনায় আহত দুইজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বুলেট সেন বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।”
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতদের পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা/শহিদুল/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের সোর্স ভেবে ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পুলিশের সোর্স মনে করে নাজিম খান ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে তার প্রতিবেশী মাদক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২ মার্চ) বিকেলে ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১ মার্চ) গভীর রাতে যৌথ বাহিনী নাজিমখান ইউনিয়নের রামকৃষ্ণ গ্রামের মন্ডল পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকজন মাদক কারবারীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এর মধ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান করে। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নিজাম সটকে পড়ে। এসময় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৯২১ গ্রাম গাঁজা এবং ১৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আকটকৃতরা হলেন- বাছড়া মন্ডলপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে গণি মিয়া (৩৪) ও গকুলা গ্রামের মৃত আফসার আলী ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩২)।
পরদিন রবিবার বিকালে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগমকে পুলিশের সোর্স ভেবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে কুপিয়ে জখম করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মাদক ব্যবসায়ী নিজামের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। তার ভাই একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় সেই প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় মাদকের সয়লাব ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজারহাট থানা পুলিশের (ওসি-তদন্ত) তছলিম উদ্দিন বলেন, “কুপিয়ে আহত করার ঘটনা শুনেছি। তবে এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
ঢাকা/বাদশাহ্/এস