সাইফের ওপর হামলার সময়ে কোথায় ছিলেন স্ত্রী-পুত্ররা?
Published: 16th, January 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল গভীর রাতে বান্দ্রার বাড়িতে ঢুকে এই অভিনেতাকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার সময়ে কোথায় ছিলেন সাইফ আলী খানের স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান? তার ছোট দুই পুত্র এবং বড় ছেলে ইব্রাহিম আলী খানই বা কোথায় ছিলেন?
দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাইফ আলী খানের ওপরে যখন হামলা হয়, তখন বাড়িতেই ছিল তার দুই পুত্র তৈমুর আলী খান, জে আলী খান। আর সাইফের স্ত্রী কারিনা কাপুর খান তার বোন কারিশমা কাপুর, বন্ধু রিয়া কাপুর ও সোনম কাপুরের সঙ্গে ছিলেন।
আরো পড়ুন:
সাইফ পুত্রের সঙ্গে মেয়ের প্রেম নিয়ে যা বললেন শ্বেতা
বলিউডের ব্যয়বহুল ৬ বিবাহবিচ্ছেদ
বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় কারিশমা কাপুর তার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, টেবিলে রাখা চারটি ড্রিংকসের গ্লাস। ছবির ওপরে লেখা, ‘গার্লস নাইট’। রাত ২টার দিকে একই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেন কারিনা কাপুর খান। তবে তারা কার বাড়িতে একসঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তা জানা যায়নি।
ঘটনার সময়ে সাইফের বড় ছেলে ইব্রাহিম আলী খান কোথায় ছিলেন তা সঠিক জানা যায়নি। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্য অনুসারে, সাইফ আলী খানের ছেলে ইব্রাহিম আলী খান, গৃহকর্মীর সঙ্গে সাড়ে ৩টার দিকে অভিনেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনার পরে সাইফ-কারিনার টিম একটি বিবৃতি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কারিনা কাপুরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গতকাল বুধবার মধ্যরাতে সাইফের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে একদল দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। দুর্বৃত্তরা একাধিকবার সাইফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।