বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল গভীর রাতে বান্দ্রার বাড়িতে ঢুকে এই অভিনেতাকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার সময়ে কোথায় ছিলেন সাইফ আলী খানের স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান? তার ছোট দুই পুত্র এবং বড় ছেলে ইব্রাহিম আলী খানই বা কোথায় ছিলেন?  

দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাইফ আলী খানের ওপরে যখন হামলা হয়, তখন বাড়িতেই ছিল তার দুই পুত্র তৈমুর আলী খান, জে আলী খান। আর সাইফের স্ত্রী কারিনা কাপুর খান তার বোন কারিশমা কাপুর, বন্ধু রিয়া কাপুর ও সোনম কাপুরের সঙ্গে ছিলেন।   

আরো পড়ুন:

সাইফ পুত্রের সঙ্গে মেয়ের প্রেম নিয়ে যা বললেন শ্বেতা

বলিউডের ব্যয়বহুল ৬ বিবাহবিচ্ছেদ

বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় কারিশমা কাপুর তার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, টেবিলে রাখা চারটি ড্রিংকসের গ্লাস। ছবির ওপরে লেখা, ‘গার্লস নাইট’। রাত ২টার দিকে একই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেন কারিনা কাপুর খান। তবে তারা কার বাড়িতে একসঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তা জানা যায়নি।

ঘটনার সময়ে সাইফের বড় ছেলে ইব্রাহিম আলী খান কোথায় ছিলেন তা সঠিক জানা যায়নি। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্য অনুসারে, সাইফ আলী খানের ছেলে ইব্রাহিম আলী খান, গৃহকর্মীর সঙ্গে সাড়ে ৩টার দিকে অভিনেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঘটনার পরে সাইফ-কারিনার টিম একটি বিবৃতি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কারিনা কাপুরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গতকাল বুধবার মধ্যরাতে সাইফের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে একদল দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। দুর্বৃত্তরা একাধিকবার সাইফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ