মুন্সীগঞ্জের চর বাংলাবাজার এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাত ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
 
বাংলাবাজার ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বুরজাহান মিজি, সদস্য নাসু সরকার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বজলু মোল্লা গং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই গুরুতর আহত বিএনপি কর্মী নজু মোল্লাকে (৪৫) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। 

আহত নজু মোল্লা বলেন, বর্গা নেওয়া কৃষিজমির পাশের ডোবা থেকে তাঁকে না জানিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বুরজাহান মিজি, সদস্য নসু সরকার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বজলু মোল্লা গংরা। তাঁর ডোবার মাছ তারা কেন ধরে নিয়ে যাচ্ছেন জানতে চাইলে তারা হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বুরজাহান মিজির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। 

সদর থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, মারামারির বিষয়টি তাঁর জানা নেই। থানায় কেউ অভিযোগও দাখিল করেনি। এরপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

সম্মেলন বাতিল চেয়ে বিএনপির একাংশের বিক্ষোভ মিছিল

হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিল চেয়ে দলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গোবিন্দপুর বাজারে সমাবেশ হয়। 

সমাবেশে বক্তৃতা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এবিএম জহির উদ্দিন সোহেল, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুস সাত্তার, নূরে আলম এরশাদ প্রমুখ। রোববার গোবিন্দপুর বাজারে সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

বক্তারা বলেন, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম হিমেল ও তাঁর সহযোগীরা নিজেদের লোক নিয়ে সাজানো সম্মেলন করতে চাচ্ছেন। এটা দলের নেতাকর্মীরা মানে না। আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে করা কাউন্সিলের চিন্তা বাদ দিয়ে নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মীকে স্থান দিতে হবে। 

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম হিমেল বলেন, সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিএনপি। মিছিল করেছে যুবদল। তাদের কোনো সাংগঠনিক এখতিয়ার নেই সম্মেলনের বিরুদ্ধে মিছিল করার। 

এ প্রসঙ্গে সিরাজ উদ্দিনের ভাষ্য, কথাটা ঠিক নয়। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলামসহ একাধিক বিএনপি নেতা মিছিলে অংশ নিয়েছেন। তারা বক্তব্যও দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। 

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মবিনকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ