১০ মোবাইল কোর্টে ৩৮,৪৮,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়
Published: 16th, January 2025 GMT
নিষিদ্ধ পলিথিন, জলাশয় ভরাট এবং শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ১০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসব অভিযানে ২৬টি মামলা রুজু ও ৩৮,৪৮,৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তর এসব অভিযান চালায়।
বায়ুদূষণকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে রংপুর, বান্দরবান, ঝিনাইদহ ও ঢাকা জেলার আমিন বাজারে পরিচালিত ৪টি মোবাইল কোর্টে ১৩টি মামলার মাধ্যমে ৩৮,০০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া ৫টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস, ১টি ইটভাটা উচ্ছেদ এবং ৩টি কিলন ভেঙে ফেলা হয়।
নগর বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ঢাকার কাজীপাড়ায় ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ১টি মামলায় ৫,০০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং ৪টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।
নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গায় ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ৭টি মামলায় ৯,০০০ টাকা জরিমানা আদায় ও ১১৪ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে ফেনী জেলায় পুকুর ভরাট বিরোধী অভিযানে ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ১টি মামলায় ৩০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পুকুরটি পুনরুদ্ধারের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শব্দদূষণের বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় শব্দ দূষণ বিরোধী অভিযানে ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ৪টি যানবাহনকে ৪,৫০০ টাকা জরিমানা ও চালকদের সতর্ক করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/এএএম/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’