Samakal:
2025-04-25@06:18:57 GMT

মৃত গাছের জানাজা

Published: 16th, January 2025 GMT

মৃত গাছের জানাজা

কেটে ফেলা চারটি গাছকে মোড়ানো হয়েছে কাফনের কাপড়ে; যেন লাশ পড়ে আছে। এ গাছগুলোই তীব্র রোদে ছায়া দিত; নির্মল বাতাস দিত। পরিবেশবিদরা বলছেন, এসব গাছের মৃত্যুর জন্য অপরিকল্পিত উন্নয়ন দায়ী। গাছেরও প্রাণ আছে– এ কথা যেন কেউ ভুলে না যান। তাই কাটা গাছগুলোতে কাফনের কাপড় মুড়িয়ে শোক কর্মসূচির পালন করা হয়েছে।

উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাাম্প নির্মাণ করতে গিয়ে পান্থকুঞ্জ পার্কের প্রায় ৪০ প্রজাতির দুই হাজার উদ্ভিদ ধ্বংস করা হয়েছে। র‌্যাম্প নির্মাণ বন্ধ করে পান্থকুঞ্জ পার্ক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ৩৪ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’। প্রতিদিন নানা আয়োজনে পার্ক রক্ষার দাবি জানানো হচ্ছে। গতকাল বুধবার রাতে পালন করা হয় মৃত গাছের জানাজা ও শোকসভা।

বক্তারা বলেন, গাছ কেটে, পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন নয়। পরিবেশ ধ্বংসকারী উন্নয়ন মানুষের কোনো কাজে আসে না। তারা গাছ হত্যাকারীদের দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বাকি একটি গাছেও হাত না দেওয়া আহ্বান জানান। তারা বলেন, এ শহর কারও একার নয়। সবার সঙ্গে আলোচনা করে উন্নয়ন করতে হবে। এ শোক গাছের জন্য প্রকৃতি ও প্রতিবেশের জন্য।

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব বলেন, আজকের এ শোকসভা গাছের জন্য, পরিবেশের জন্য। এ রকম একটি গাছ তৈরি করতে মানুষের পুরো জীবন লেগে যায়। অথচ উন্নয়নের ডামাডোলে গাছের জীবন রক্ষা পায় না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

ধানমন্ডিতে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান ডিএসসিসির  

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় শুক্রবার মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও ধানমন্ডি সোসাইটি এ অভিযানে অংশ নেয়। 

সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০ জন মশক কর্মী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বিডি ক্লিনের ৫০ জন এবং ধানমন্ডি সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকাকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে মূল রাস্তা, লেক, পার্ক, মসজিদ, ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ  ছিটিয়ে নেওয়া হয়। 

অভিযানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ঢাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সোসাইটিগুলো চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজউক, গণপূর্ত, বিআরটিএ, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে সরকার একটি সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে। এছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যেও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন হচ্ছে।

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হবে। ধানমন্ডি থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।  

অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সকল বিভাগীয় প্রধান এবং ধানমন্ডি সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ