কেটে ফেলা চারটি গাছকে মোড়ানো হয়েছে কাফনের কাপড়ে; যেন লাশ পড়ে আছে। এ গাছগুলোই তীব্র রোদে ছায়া দিত; নির্মল বাতাস দিত। পরিবেশবিদরা বলছেন, এসব গাছের মৃত্যুর জন্য অপরিকল্পিত উন্নয়ন দায়ী। গাছেরও প্রাণ আছে– এ কথা যেন কেউ ভুলে না যান। তাই কাটা গাছগুলোতে কাফনের কাপড় মুড়িয়ে শোক কর্মসূচির পালন করা হয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাাম্প নির্মাণ করতে গিয়ে পান্থকুঞ্জ পার্কের প্রায় ৪০ প্রজাতির দুই হাজার উদ্ভিদ ধ্বংস করা হয়েছে। র্যাম্প নির্মাণ বন্ধ করে পান্থকুঞ্জ পার্ক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ৩৪ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’। প্রতিদিন নানা আয়োজনে পার্ক রক্ষার দাবি জানানো হচ্ছে। গতকাল বুধবার রাতে পালন করা হয় মৃত গাছের জানাজা ও শোকসভা।
বক্তারা বলেন, গাছ কেটে, পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন নয়। পরিবেশ ধ্বংসকারী উন্নয়ন মানুষের কোনো কাজে আসে না। তারা গাছ হত্যাকারীদের দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বাকি একটি গাছেও হাত না দেওয়া আহ্বান জানান। তারা বলেন, এ শহর কারও একার নয়। সবার সঙ্গে আলোচনা করে উন্নয়ন করতে হবে। এ শোক গাছের জন্য প্রকৃতি ও প্রতিবেশের জন্য।
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব বলেন, আজকের এ শোকসভা গাছের জন্য, পরিবেশের জন্য। এ রকম একটি গাছ তৈরি করতে মানুষের পুরো জীবন লেগে যায়। অথচ উন্নয়নের ডামাডোলে গাছের জীবন রক্ষা পায় না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের
কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান মহোদয় এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন আমাদের দাবি যৌক্তিক, তিনি রাষ্ট্রকে বিষয়টি জানাবেন। শিক্ষার্থীরা অনশনরত অবস্থায় মারা যাবে আর তারা রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে ধীরেসুস্থে কাজ করার কথা ভাবছে।
এ ধরনের বক্তব্য শিক্ষার্থীরা আশা করেনি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করতে চাই, ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকেল ৪টার মধ্যে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি মেনে নিয়ে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে। রেল ও সড়কপথ এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ইজতেমার কথা বিবেচনায় অনির্দিষ্টকালের এই কর্মসূচি চলাকালে কিছুটা শিথিলতা থাকবে। ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ইজতেমায় যোগ দেওয়া মুসল্লিদের জন্য ব্যারিকেড শিথিল থাকবে। এই সময়ের মধ্যে মুসল্লিদের ইজতেমায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
৭ দফা দাবি আদায়ে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনশনরত অবস্থায় ইতোমধ্যে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সহপাঠীরা তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। অন্যদিকে একই দাবিতে রাত ১০টার দিকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী রাজধানীর গুলশান ১ এর গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। পরে সেখানে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন শিক্ষার্থীরা।