যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব হয়েছে নভেম্বরের বিজয়ের কারণে: ট্রাম্প
Published: 16th, January 2025 GMT
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এর মাধ্যমে শেষ হতে যাচ্ছে দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চুক্তির পেছনে তার জয়কে বড় করে দেখছেন।
তিনি বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব হয়েছে শুধু নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিজয়ের কারণে।”
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ বিষয়ে একাধিক পোস্ট করেছেন।
সেখানে তিনি লেখেন "মধ্যপ্রাচ্যে জিম্মিদের জন্য আমরা একটি চুক্তি করছি। তারা খুব দ্রুতই মুক্তি পাবে"।
ট্রাম্প আরেক পোস্টে লিখেছেন, “এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা দল ইসরায়েল ও আমাদের মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে, যাতে গাজা আর কখনও সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল না হয়।”
এদিকে, এই চুক্তির কৃতিত্ব দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং এ যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারীদের ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতার ফলেই এ চুক্তি সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, “আমরা একসঙ্গে যা করেছি তার সম্পূর্ণ ফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে বীজ রোপণ করা হয়েছে, সেগুলি বেড়ে উঠবে এবং আগামীতে প্রস্ফুটিত হবে।”
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি গতাকল বুধবার সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।
এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে। এসব হামলায় গত ১৫ মাসে ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।
এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।