গ্রাফিতি ঘিরে কর্মসূচি হামলায় আহত ৩৩
Published: 16th, January 2025 GMT
পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ-সংবলিত গ্রাফিতি (দেয়ালে আঁকা বিশেষ বার্তাবহ চিত্রকর্ম) রাখার পক্ষে-বিপক্ষে দুটি সংগঠনের কর্মসূচি ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পার্বত্য চট্টগ্রামকেন্দ্রিক দুটি সংগঠন সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা এবং স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়। দুই সংগঠনেরই দাবি, অপর পক্ষ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যই বেশি।
নবম ও দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ব্যবহৃত আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি। ওই চিত্রকর্মে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী; পাশে লেখা ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’। সভরেন্টির দাবির মুখে রোববার রাতে পাঠ্যপুস্তকের অনলাইন সংস্করণ থেকে শব্দটি সরিয়ে নেয় এনসিটিবি। এর পর আদিবাসী শব্দটি পুনর্বহালের দাবিতে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা আন্দোলন শুরু করে।
স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি তাদের পাঁচটি দাবি আদায় না হওয়ায় রোববারের কর্মসূচি থেকে মতিঝিলে এনসিটিবি ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়। এর এক দিন পর সোমবার একই কর্মসূচি ঘোষণা করে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এনসিটিবি ভবন এলাকায় অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছিলেন সভরেন্টির সদস্যরা। অন্যদিকে আদিবাসী ছাত্র-জনতা রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ শেষে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করতে গেলে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
আদিবাসী ছাত্র-জনতা সংগঠনের আহতরা হলেন– অনন্ত বিকাশ ধামায়, ধন জেত্রা, জুয়েল মারাক, রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, টনি ম্যাথিউ চিরান, ইসাবা শুহরাত, ফুটন্ত চাকমা, দনওয়াই ম্রো, রেং ইয়ং ম্রো, স্নেহলাল তঞ্চঙ্গ্যা, শান্তা চাকমা, সুস্মী চাকমা, এনজেল চাকমা, সুশান্ত চাকমা, মিশেল ত্রিপুরা, মলয় বিকাশ ত্রিপুরা, রাহি নায়াব ও ববি বিশ্বাস। আর সভরেন্টির আরিফুল খবির, শওকত, আব্বাস, রাজন হোসেন, ওয়াফী, মনোয়ার, নুহান, জিহাদ, সজীবসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়ায় সকাল থেকে এনসিটিবি ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। সেখানে দায়িত্ব পালনরত একাধিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আদিবাসী ছাত্র-জনতার মিছিল মতিঝিল সিটি সেন্টারের কাছে পৌঁছালে তাদের গতিরোধের চেষ্টা করেন স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টির সদস্যরা। তার পরও বাধা উপেক্ষা করে তারা এনসিটিবি ভবনের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার শাহরিয়ার আলী বলেন, দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে আসার আগেই তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সক্রিয় ছিল। দায়িত্ব পালনে পুলিশের অবহেলা ছিল না। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী খায়রুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ কোথা থেকে যে কারা এলো, বুঝতে পারিনি। একটু পর দেখি পুলিশ দু’পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, আর দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিচ্ছে। এর মধ্যে একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
অবশ্য আদিবাসী ছাত্র ফোরামের সভাপতি অলিক মৃ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে সেখানে গেলে তারাই আমাদের ওপর হামলা চালায়। এর পর সেখানে বসে পড়ি। তখন আবারও তারা হামলা করে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আমাদের অন্তত ১৭ জন আহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন সাতজন।
আদিবাসী যুব ফোরামের সভাপতি আন্তনী রেমা বলেন, স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টির ব্যানারে থাকা লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীর হাতে লাঠিসোটা ছিল। হামলায় আহত আদিবাসীদের মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের কারও মাথায়, কারও কপালে, কারও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে।
য়েকজনের মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে। আহত জুয়েল মারাক বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের সংবাদকর্মী। তিনিসহ অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঢামেক হাসপাতাল থেকে চলে যান। এ ছাড়া আহত আদিবাসী যুব ফোরামের সাবেক সভাপতি অনন্ত বিকাশ ধামায়সহ চারজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত দনওয়াই ম্রো বলেন, আমরা তো লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি করতে যাইনি। আন্দোলনে অংশ নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম। এ সময় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে আমাকে।
স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক জিয়া বলেন, আমাদের কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত ছিল। মঙ্গলবার রাতে আমরা তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে পারি। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে চেয়েছিলাম। এর আগেই তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আমাদের ওপর হামলা করে।
সভরেন্টির কর্মী সাকিব বলেন, এ ঘটনা পরিকল্পিত। আমরা এনসিটিবির সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। আদিবাসী ছাত্র ফোরামের সভাপতি অলিক মৃর নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়।
সভরেন্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দীন রাহাত বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিদেশি প্ররোচনায় ২০০৭ সাল থেকে নিজেদের আদিবাসী দাবি করলেও তারা তা নয়। তারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে আমাদের ভূখণ্ডে বাঙালিদের সঙ্গে সহাবস্থান করছে।
২০০৭ সালে জাতিসংঘের ৬১তম অধিবেশনে আদিবাসীবিষয়ক একটি ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। ওই ঘোষণাপত্রে এমন কিছু বিতর্কিত অনুচ্ছেদ রয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়ন করতে গেলে আদিবাসী অঞ্চলের ওপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ও অখণ্ডতা থাকে না। দেশে কোনো উপজাতীয় আদিবাসী না থাকায় বাংলাদেশ ওই ঘোষণাপত্রে সই করেনি। ওই ঘোষণাপত্রের একটি অনুচ্ছেদে আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং আরেকটি অনুচ্ছেদে স্বায়ত্তশাসন ও নিজস্ব সরকার গঠনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য হুমকি হওয়ায় সংবিধানবিরোধী ওই শব্দ পাঠ্যবই থেকে বাতিলের দাবি জানানো হয়।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান একেএম রেজাউল হাসান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা দুঃখজনক। এর আগে স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে এবং স্মারকলিপি দেয়। আমরা তাদের বলেছি, বইয়ের কোথাও আদিবাসী শব্দ নেই। সংবিধানেও আদিবাসী শব্দ নেই। এই গ্রাফিতি কেউ এককভাবে বাছাই করেনি। বৃহত্তর ঐক্যের কথা চিন্তা করে সবাই মিলে করা হয়। তবে আপত্তি ওঠায় তা বাতিল করা হয়। গত মঙ্গলবার দুই পক্ষ একসঙ্গে কর্মসূচি ঘোষণা করলে নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়। তারা এক টেবিলে বসে সমস্যা সমাধান করতে চায়নি। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনার বিকল্প কোনো পথ নেই।
হামলার ঘটনায় নিন্দা
মতিঝিলে এনসিটিবি ভবনের সামনে বিভিন্ন জাতিসত্তার নাগরিকের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এবং ইউপিডিএফের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদও হামলার নিন্দা জানিয়েছে। বুধবার এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যাসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা এ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরব ভূমিকা পালন করলে এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা দেখতে হতো না। ভিডিও ফুটেজ তদন্ত করে এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এদিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ আলাদা বিবৃতিতে এ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ ছাড়া অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির এক সভায় বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় কর্মীর ওপর এ হামলা অভ্যুত্থানের স্পিরিটের পরিপন্থি।
এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে ছাত্রদলও। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ছাড়া জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।
দু’জন পুলিশ হেফাজতে
এ হামলার ঘটনায় স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন আরিফ ও আব্বাস। গতকাল রাত ১২টার দিকে মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক আলিমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মতিঝিলে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত র জনত স গঠন র অবস থ ন এনস ট ব র কর ম ত হয় ছ সদস য ঘটন য় এ ঘটন গতক ল র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
আচরণবিধি ভঙ্গে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ সাকিব
বিপিএলে আগ্রাসী আচরণের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো শাস্তি পেয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আগের বার জরিমানা হলেও এবার দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ; সাথে পেয়েছেন ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট।
কারণ ২৪ মাসের মধ্যে কোনো ক্রিকেটার ৪ ডিমেরিট পেলে তাকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার কথা। তবে সাকিব নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চিটাগং কিংসের বিপক্ষে তার দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের শেষ ম্যাচে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন তিনি।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারে চিটাগংয়ে খেলা গ্রাহাম ক্লার্ককে আউট করে ব্যাটারের উদ্দেশে কিছু একটা বলেন সাকিব। ঘটনাটি নজর এড়ায়নি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও মোর্শেদ আলী খানের।
ম্যাচ শেষে দুই আম্পায়ার ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ জানান। পরে ম্যাচ রেফারি এহসানুল হক সেজান শাস্তি হিসেবে সাকিবকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন। এর ফলে ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়া এই ক্রিকেটারকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।