রাজধানীর ডেমরায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ডেমরা আমতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— সোহাগ মিয়া, আল আমিন হোসেন ওরফে বাবু, মো. মিলন ও মো. সাজু। 

ঢাকার ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ডেমরা থানায় একটি মামলা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী ডেমরা এলাকার একটি প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সোহাগের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় ও পরবর্তীতে আলাপচারিতা। সোহাগ গত ১৩ জানুয়ারি বিকেলে তাকে দেখা করতে বলেন। তারা বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এক সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করেন। একপর্যায়ে ডেমরার লালশাহ মাজার রোড ভার্জিন বেকারির গলির একটি পরিত্যক্ত কক্ষে নিয়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে সোহাগ ও তার বন্ধুরা মিলে ভুক্তভোগী তরুণীকে ধর্ষণ করেন।

ওসি আরও জানান, মামলা তদন্তকালে ভুক্তভোগী তরুণীর জবানবন্দি পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া তরুণীর ডিএনএ পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

জুলাই আন্দোলনের এক শহীদের কলেজছাত্রী মেয়ের (১৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত কলেজছাত্রীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে। তিনি গত ১৮ মার্চ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।

আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল চন্দ্র ধর ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।

ওই কলেজছাত্রীর চাচা বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে তার ভাতিজির আত্মহত্যার খবর পান তিনি। এরপর তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান।

এসআই কমল চন্দ্র ধর বলেন, শেখেরটেকের একটি বাসা থেকে ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যাজনিত। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। পুলিশ পুরো ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা জানিয়েছিলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার শহীদ স্বামীকে দুমকি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় তার কলেজশিক্ষার্থী মেয়ে। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলে। এরপর ভুক্তভোগী তার মা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ মার্চ থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। সন্ধ্যায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়।

মামলার এজাহারে উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা হওয়ার দিন রাতে এজাহারভুক্ত ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২১ মার্চ অন্য আসামিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাদের যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটুয়াখালীতে শহীদ বাবার কবরের পাশে শা‌য়িত কলেজছাত্রী, কান্না থামছে না মায়ের
  • তালতলীতে কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণ’, থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ
  • ‘নাতনি তো শ্যাষই হইয়্যাই গ্যাছে, অগোর ফাঁসি চাই’
  • নারী ও কন্যাশিশুরা কোথাও নিরাপদ নয়
  • ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত ছাড়লেন ২৭২ পাকিস্তানি, আজ শেষ দিনে ছাড়বেন আরও কয়েক শ
  • শহীদ বাবার পাশেই কলেজছাত্রীকে দাফনের প্রস্তুতি, কবর খুঁড়ছেন বৃদ্ধ দাদা
  • জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়েটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর, হাসপাতালে ক্ষোভ
  • জুলাই আন্দোলনে শহীদ কন্যার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • রাজধানীতে জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার