দু’বছর ঝুলিয়ে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিআইডব্লিউটিএর
Published: 16th, January 2025 GMT
দুই বছরের বেশি সময় ঝুলিয়ে রাখার পর শেষ পর্যন্ত ৭৩টি লস্কর পদে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইব্লিউটিএ)।
২০০২ সালে অনুষ্ঠিত এসব পদে নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করায় ক্ষুব্ধ এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। পুনর্নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ও আগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের চূড়ান্ত নিয়োগের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন এসব নিয়োগপ্রত্যাশী।
গতকাল বুধবার ৭৩টি লস্কর পদের পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়। বিআইব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (মানবসম্পদ) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বশেষ কোটা-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ও বয়সসীমা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করায় নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে উল্লিখিত ৭৩টি লস্কর পদে নিয়োগের লক্ষ্যে ২০২২ সালের ৩ এপ্রিল প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করা হয়েছে।
তবে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির ক্ষেত্রে বিআইব্লিউটিএর এমন যুক্তি মানতে নারাজ নিয়োগপ্রত্যাশীরা। তারা বলছেন, বিগত সরকারের সময় ২০২২ সালে এসব পদের নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা হলেও শুধু চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়া তখনকার প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকারের কোটা-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ও বয়সসীমা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার কথা নয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
রাগবি, অ্যাথলেটিকস, বক্সিং, ফুটবলের পর ক্রিকেট—কোন খেলায় নেই তিনি
‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র।’
জেমস থমাসের নিশ্চয়ই সুনির্মল বসুর কবিতা পড়া নেই। পড়া থাকলে কবিতার এই লাইনকে খানিকটা ঘুরিয়ে নিজের মতো করে তিনি বলতে পারেন, ‘খেলার ভুবন পাঠশালা মোর, সব খেলার আমি ছাত্র।’
কেন? সে কথা বলতে গিয়ে সবার আগে জানিয়ে রাখা ভালো, ৪২ বছর বয়সী এই ভদ্রলোক এখন নিজে আর খেলেন না। কিন্তু খেলাধুলার জগতে বিভিন্ন ক্লাব বা সংস্থা পরিচালনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর মজাটাও ঠিক এখানেই। নিজে ছিলেন পেশাদার রাগবি খেলোয়াড়। সেখান থেকে পা রাখেন ক্রীড়া শিক্ষকতায়। তারপর ব্যবস্থাপক হিসেবে অ্যাথলেটিকস দিয়ে শুরু করে বক্সিং, জুডো ও জিমন্যাস্টিকস হয়ে এখন ফুটবল দুনিয়ায়। তবে এখানেই থাকছেন না; সামনে তাঁর পা পড়তে যাচ্ছে ক্রিকেটেও।
অর্থাৎ থমাসের পেশাদার কাজকর্ম শেখা বা করার পাঠশালা কোনো নির্দিষ্ট একটি খেলা নয়, বরং খেলাধুলার পুরো জগৎই। আর কে না জানে, যেকোনো কাজে জড়ালেই সেখান থেকে যেমন কিছু না কিছু শেখা যায়, তেমনি বিভিন্ন খেলায় মাঠের বাইরের কাজকর্ম থেকে থমাসও তো কিছু না কিছু শিখছেন!
সেই পথে থমাসের পা এখন ক্রিকেটে পড়ার অপেক্ষায়। ভদ্রলোক আপাতত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির পারফরম্যান্স ডিরেক্টর। আগামী জুনে সিটি ছেড়ে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল ওয়ারউইকশায়ারের পারফরম্যান্স ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেবেন। ওয়ারউইকশায়ার তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেছে, টমাস ‘খেলাধুলার অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় হাইপারফরম্যান্স বিশেষজ্ঞ’
ইংল্যান্ডের নর্থইস্ট থেকে উঠে আসা থমাস রাগবি খেলেছেন লিডসে। ২০০৪ সালে বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পোর্টিং এক্সিলেন্সে শিক্ষক হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে থমাস ওয়েলশ অ্যাথলেটিকসে পারফরম্যান্স পাথওয়েজ ম্যানেজারের দায়িত্ব পান। এরপর ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন হুইলচেয়ার রাগবির সঙ্গেও নিজেকে জড়ান টমাস। সেখানে হেড অব অপারেশনসের দায়িত্বে ছিলেন।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ওয়েলস অ্যামেচার বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনে পারফরম্যান্স ডিরেক্টরের পদ সামলান টমাস। সেখান থেকে ব্রিটিশ জুডো অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দিয়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পারফরম্যান্স পাথওয়ের সিনিয়র ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০২২ সাল পর্যন্ত সেখানে স্পোর্টস কনসালট্যান্সির পদও ধরে রেখেছিলেন থমাস। এর মধ্যেই আবারও অন্য খেলার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন তিনি। এবার ব্রিটিশ জিমন্যাস্টিকসের পারফরম্যান্স ডিরেক্টর, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন থমাস।
ব্রিটিশ জিমন্যাস্টিকসেও ছিলেন জেমস টমাস