প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক
Published: 16th, January 2025 GMT
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক ডেকেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও অন্য অংশীজন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বিকেল ৪টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় দুই ধাপে দলগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড.
আজকের বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ এবং নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট, দল ও সংগঠনের নেতারা অংশ নেবেন। তবে গতকাল বুধবার রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠকের আমন্ত্রণ পাননি বলে সমকালকে জানিয়েছেন বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতারা।
অন্যদিকে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টিকে আজকের বৈঠকে ডাকা হবে না বলে আগেই জানানো হয়েছে। অবশ্য অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বামপন্থি অন্য দলগুলোকে বৈঠকে ‘আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে’ বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার তরফে কোনো আমন্ত্রণ পাননি বলে জানান সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি জানান, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ অন্য বাম দলগুলোও কোনো আমন্ত্রণ পায়নি।
এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এর খসড়া পাঠিয়েছিল সরকার। এটি দেওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রের দাবিতে সোচ্চার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও। বিভিন্ন নারী ও শিক্ষক সংগঠনসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গেও কথা বলেছে সরকার। আজকের বৈঠকে এ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজকের দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে স্পষ্ট হবে, সরকারের পক্ষ থেকে কবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রটি দেওয়া হবে। সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্র জারি করার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে, সেটিও চূড়ান্ত হবে।
ঘোষণাপত্রের দাবিতে প্রথম সোচ্চার হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই দাবি তোলে জাতীয় নাগরিক কমিটিও। ছাত্র নেতারা ২৮ ডিসেম্বর একযোগে ঘোষণা দেন বছরের শেষ দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে ঘোষণাপত্র প্রকাশ হবে। ওই সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছিল, এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এক দিন পর জানায়, সরকার সহযোগিতা করবে। ৩০ ডিসেম্বর ছিল নাটকীয়তা পূর্ণ। সেই রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণাপত্র তৈরি করবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দলগ ল র সরক র র আজক র
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’