ময়মনসিংহের হযরত শাহ সুফি সৈয়দ কালু শাহর (রহ) মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ‘লোক দেখানো মামলা’ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভক্তরা। গতকাল বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশ সুফিবাদ ঐক্য পরিষদের নেতারা। তারা হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদ করতে গিয়েও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ভক্তরা জানান, গত ৮ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে একদল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী থানার সামনের মাজারের বার্ষিক ওরস ও সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় নিরাপদে সরে গিয়ে রক্ষা পান শিল্পীরা। এরপর রাত ৩টার দিকে আবারও মাজারে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় মামলা করেছেন মাজারের এক ভক্ত। গত মঙ্গলবার এ ঘটনার প্রতিবাদে মাজারের সামনে সমাবেশ ডাকলে ১৪৪ ধরা জারি করে জেলা প্রশাসন। যদিও ১৪৪ ধারা জারি করা স্থান থেকে কিছুটা দূরে পাটগুদাম র‍্যালির মোড়ে সমাবেশ করেন প্রতিবাদকারীরা। বিকেলে শহরের ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরেও মানববন্ধন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ সুফিবাদ ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল দেওয়ান। মাজারে হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়েও আমরা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। যারা সম্প্রীতি নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে, পুলিশ তাদের বাঁচানোর জন্য ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করিয়ে লোক দেখানো মামলা নিয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে সদর থানার ওসি শরীফুল ইসলাম খান বলেন, ‘মাজারের লোকজন এসেই মামলা দিয়েছেন। আমরা মামলা তদন্ত করছি। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলায় কোনো লোক দেখানো বিষয় নেই।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে (১৬) এক যুবক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওই যুবক গত বুধবার অন্য জায়গায় বিয়ে করেন। খবর পেয়ে কিশোরীর পরিবার বিষয়টি থানায় জানায়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবকের নাম মো. আবুল কালাম (২৬)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িও একই গ্রামে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারে দাবি, মেয়েটির মা ঢাকায় চাকরি করেন। মেয়ে তার বাবার কাছে গ্রামের বাড়িতে থাকে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায়ই কিশোরীর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন আবুল কালাম। চার মাস আগে দুজনের মধে৵ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কালাম। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন। তাঁর সহজ-সরল মেয়েটার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এ জন্য ওই যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে বাসরঘর থেকে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকেও আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ পরিবারের নাম আরও ২৯ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাদ
  • মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ১৫ 
  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক যানচলাচল স্বাভাবিক, কয়েকটি কারখানায় ছুটি
  • গাজীপুরে নারী শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে মহাসড়ক অবরোধ, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
  • জামালপুরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
  • ২৭ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ
  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন 
  • মাটি কামড়ে নিজের পেশায় টিকে আছেন ময়মনসিংহের মৃৎশিল্পীরা
  • তিন বছরে কাজ হয়েছে ৫৫ শতাংশ, দ্রুত চালুর দাবি এলাকাবাসীর
  • বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার