সিমেন্টের লাইম স্টোনে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার চান উদ্যোক্তারা
Published: 16th, January 2025 GMT
সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল লাইম স্টোনে নতুন করে আরোপিত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, এতে সিমেন্ট তৈরির খরচ বেড়ে যাবে। বাধাগ্রস্ত হবে উৎপাদন।
সম্প্রতি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে সিমেন্ট উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ)। চিঠিতে বলা হয়, সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয় সাধারণত বিলাস দ্রব্য ও আমদানি নিরুৎসাহিত করতে। কিন্তু লাইম স্টোন সিমেন্ট শিল্পের একটি অন্যতম কাঁচামাল। পণ্যটির আমদানি মূল্য অন্য কাঁচামালের চেয়ে তুলনামূলক কম। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সম্প্রতি পণ্যটির ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, যা সিমেন্ট উৎপাদনকারীদের কাছে অযৌক্তিক মনে হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, সিমেন্ট শিল্প বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। এর কারণ ডলার সংকটে আমদানির ঋণপত্র খুলতে ব্যাংকের অনাগ্রহ, ব্যাংক ঋণে চড়া সুদহার এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে শুল্ক-সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসা দরকার ছিল, সেখানে উল্টো বিভিন্ন পর্যায়ে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে এ শিল্পের সংকট গভীরতর করছে। এ কারণে লাইম স্টোনের ওপর সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।
২০২৩ সালেও লাইম স্টোনের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে এ খাতের উদ্যোক্তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দু-তিন মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে বিসিএমএর নির্বাহী পরিচালক সমকালকে বলেন, ‘এমনিতেই এখন ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। এর মধ্যে লাইম স্টোনে শুল্ক বসাল এনবিআর। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’