কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে  একটি পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার গড়াই ও রূপসা পরিবহনের অন্তত ৬টি বাস আটক করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে রাতে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে ঝিনাইদহ থেকে যশোরের উদ্দেশে গড়াই পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। একপর্যায়ে চালক গাড়ি দ্রুত চালালে আসিফ গতি কমাতে বলেন। তখন বিষয়টি নিয়ে চালক ও সহকারীদের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর জেরে বাসটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে আসিফকে গাড়ি থেকে নামিয়ে চালক, সহকারী এবং কালীগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন মিলে মারধর করেন।

আসিফ ক্যাম্পাসে ফিরে বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থীদের জানালে তারা বেলা সাড়ে ৩টায় প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বাস আটকাতে শুরু করেন। বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই পরিবহনের ৫টি বাস আটক করেন শিক্ষার্থীরা। আসিফকে মারধরের বিষয়টিসহ শিক্ষার্থীদের বাসকেন্দ্রিক সব সমস্যার সমাধানের দাবি  জানান ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 

কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বাসের লোকজন সবসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। শিক্ষার্থীদের ভাড়ার হাফ পাস থাকলেও তারা ভাড়া কম নিতে চান না, উল্টো দুর্ব্যবহার করেন। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.

শাহীনুজ্জামান বলেন, বাসমালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বৃহস্পতিবার আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। দ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ল কজন ব স আটক ব ষয়ট ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ