চালকদের পিটুনি, পুলিশের তিন সদস্যসহ আহত ৪
Published: 15th, January 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের হামলায় পুলিশের তিন সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাগবাড়ি এলাকার মেঘনা সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এখানে সকাল থেকে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল ট্রাফিক পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মেঘনা সড়কে সকালে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় বেশকিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করা হয়। এর জেরে বেলা ১১টার দিকে চালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তাদের কিলঘুসি, লাঠিসোঁটা-রডের আঘাতে সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সবুজ মিয়া, ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল ঝুটন ভট্টাচার্য, টারজান বড়ুয়া ও একজন চালক আহত হন। পরে চালকরা লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় এক ঘণ্টা ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের অভিযোগ, সড়কে চলাচলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তাদের মাসোহারা দিতে হয়। অভিযানের নামে ট্রাফিক পুলিশ তাদের কাছ থেকে নানা ছুতোয় টাকা আদায় করে। বুধবার কয়েকটি আটক করে মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি অটোরিকশার বৈধ কাগজপত্র ছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা হামলা করে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিলেন তারা। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় চালকরা। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জেলা পুলিশ সুপার মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।