দক্ষিণ এশিয়ার সবকটি ব্যবসার জন্য গুগল ওয়ার্কস্পেস ও ক্লাউড সল্যুশন নিয়ে কাজ করছে রেডিংটন। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের ব্যবসা এখন গুগল ক্লাউডের মাধ্যমে কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর হবে।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে প্রযুক্তি সেবাদাতা রেডিংটন লিমিটেড গুগল ক্লাউডের সঙ্গে অংশীজন হয়েছে। যার লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবসাকে ডিজিটাল রূপান্তরে ত্বরান্বিত করা। তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য, গুগল ওয়ার্কস্পেস ও গুগল ক্লাউডের মতো আধুনিক সব প্রযুক্তিকে সহজলভ্য করে ব্যবসায়িক দক্ষতা ও উদ্ভাবনে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করা।
রেডিংটন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রমেশ নাটারাজন বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরকে গতিশীল করে উদীয়মান ও মানোন্নত বাজারের মধ্যে ব্যবধান দূর করা সম্ভব। গুগল ক্লাউডের সঙ্গে অংশীজন হওয়ায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন এখন সহজ হবে। সব ব্যবসায় ক্লাউড প্রযুক্তি গ্রহণের সঙ্গে তাদের কাছে প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনী টুলস সরবরাহে কাজ করব।
গুগল ওয়ার্কস্পেস এমন কিছু আধুনিক টুলস সরবরাহ করে, যা কাজের প্রয়োজনের সময়ে যে কোনো স্থান থেকে সহজ ও কার্যকরভাবে সহযোগিতা করে। যেমন– জিমেইল, গুগল ড্রাইভ, গুগল মিট ও গুগল ডকস। অন্যদিকে, গুগল ক্লাউড ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানকে ডেটাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে, কার্যক্রমের দক্ষতা বাড়াতে ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর টুলস ব্যবহার করে উদ্ভাবনে সহায়তা করে। এসব সমন্বয় গুগলকে শিল্প খাতে ডিজিটাল রূপান্তরে অগ্রগামী হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।
গুগল ক্লাউডের উদ্ভাবনী সমাধানে রেডিংটন ক্লাউড গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ, যেমন– খরচ, অ্যাক্সেসিবিলিটি ও দক্ষতার অভাব সমস্যার সমাধানে কাজ করতে চায়। ফলে ব্যবসায়িক সব প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সহায়তা ও সহজতর অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল
গাজায় সব মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। রোববার দেশটি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব মেনে না নিলে ‘আরও পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় রাজি হতে হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যুদ্ধাপরাধ ও চুক্তির (যুদ্ধবিরতি) ঘোরতর লঙ্ঘন। এই ঘটনায় মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তাও চেয়েছে হামাস।
নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রথম ধাপের বন্দিবিনিময় চুক্তি শেষ হয়েছে এবং হামাস উইটকফের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ (রোববার) সকাল থেকে গাজায় সব ধরনের পণ্য ও সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। কিন্তু রোববার সকাল থেকে গাজায় আর কোনো পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। এতে গাজায় হঠাৎ করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। সেখানকার মানুষ ময়দা, রুটি যা পারছে তাই খুঁজছেন। যেন সারাদিন রোজা রাখার পর অন্তত ইফতার করা যায়। পণ্য সরবরাহ বন্ধ করায় আবারও না খেয়ে থাকায় শঙ্কায় পড়েছেন গাজাবাসী।
এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজার যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ৪২ দিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কোনো ঐকমত্য না হলেও, এখনই হামলায় যাচ্ছে না তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে রমজান মাসে যুদ্ধ বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে হামাস গাজার যুদ্ধবিরতির চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।