হামলার অভিযোগে চট্টগ্রামে দু’জনকে নিয়ে গেল পুলিশ
Published: 15th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামে তল্লাশির জন্য অটোরিকশা থামিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দাবি করে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন পটিয়ার চরকানাই গ্রামের মান্নান কোম্পানির বাড়ির মৃত মনছুর আহাম্মেদের ছেলে মোরশেদ খান ও বোয়ালখালী থানার পশ্চিম শাকপুরা গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে মো. করিম।
পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তারা হলেন– এসআই হাবিবুর রহমান ও অসিত নাথ, কনস্টেবল আবদুল সাত্তার, আমিরুল ইসলাম ও ফরিদ শেখ। পুলিশের দাবি, গত মঙ্গলবার রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বোয়ালখালীর দিক থেকে শহরে আসছিলেন গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি। নগরের কালুরঘাট মোহরা চেকপোস্টে পুলিশ তাদের অটোরিকশা তল্লাশির জন্য থামার সংকেত দেয়। এ সময় তারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়।
গ্রেপ্তার মোরশেদ ও করিমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ কারণে কেন তারা পুলিশের ওপর উত্তেজিত হলেন, জানা যায়নি। চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, আটক দু’জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, হামলা ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বসন্তের প্রকৃতিতে রক্তকাঞ্চনের সাজ
বসন্তের প্রকৃতি সেজেছে পলাশ, শিমুলসহ নানা ফুলের রঙে। এর সাথে রং লেগেছে রক্তকাঞ্চনেও। মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশে রাজনগর উপজেলার নন্দীউড়া গ্রামের হীরা সেনের বাড়িতে শোভাবর্ধণের জন্য পথের ধার ঘেঁষে রোপণ করেন রক্তকাঞ্চনের গাছ। চলতি বসন্তে রঙিন হয়ে ফুটেছে কাঞ্চন। নজর কাড়া সেই ফুল দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
রক্তকাঞ্চনের বৈজ্ঞানিক নাম Bauhinia variegate. Gi cwievi Fabaceae ইংরেজী নাম Camelos foot Tree. এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বৃক্ষ। গাছ ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা হয়। মূল কাণ্ডের সাথে একাধিক কাণ্ড দেখা যায়। পাতাগুলো দেবকাঞ্চনের চেয়ে আকারে ছোট, গড়ন গোলাকার, আগার দিকে বিভক্ত। বীজ ও কলমে চাষ হয়।
এর আদি আবাস ভারতীয় উপমহাদেশে। বাড়িতে এ বৃক্ষ শোভাবর্ধনকারী হিসেবে সমাদৃত। তবে পার্ক ও সড়কের দুধারেও লাগানো হয় ওই গাছ। ফুল ফুটলে এ কাঞ্চনের রূপে বিমোহিত হয় মানুষ। বসন্তে প্রায় নিষ্পত্র গাছ গোলাপি-বেগুনি রঙের ফুলে ছেয়ে থাকে। তার পাঁচটি পাপড়ির মধ্যে একটি বড় ও গাঢ় রঙের, তাতে রয়েছে কারুকার্যতা এর ফল শিমের মতো।
রক্তকাঞ্চনের একটি সাদা ফুলের জাতও আছে, ভারি সুন্দর। এলাকায় গেলে দেখা হয় পথচারী কামরান আহমদের সাথে তিনি বলেন, “বসন্তে নানা ফুলে প্রকৃতি সাজে। এর মধ্যে রক্তকাঞ্চন ফুলটা আলাদা ধরনের, দেখতে মনোহরী।”
এসময় কথা হয় এলাকার জুয়েল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, “হরেক রকম ফুল প্রকৃতিতে দেখা যায়। কিছু কিছু ফুল মানুষের মন ভরে দেয়। নন্দীউড়া গ্রামের হীরা সেনের বাড়ির প্রবেশ পথ দিয়ে যেতে যেতে পাশে চোখ পড়লে মনে হবে অতিথিকে অর্ভ্যথনা জানাতে রক্তকাঞ্চনের দু’টি গাছ দাঁড়িয়ে আছে।”
হীরাসেন বলেন, “বাড়ির শোভাবর্ধনের জন্য দু’টি গাছ কয়েক বছর আগে রোপন করি। এবার রক্তকাঞ্চনের ফুল ফুটেছে। এছাড়াও আমার বাড়িতে আরো অনেক জাতের ফুল গাছ রয়েছে। বিভিন্ন পূজা-পার্বণে বিভিন্ন ধরনের ফুল প্রয়োজন হয়, তাই অনেক জাতের ফুল গাছ লাগাই। রক্তকাঞ্চন অনেকটা বিলুপ্তির পথে। আগের মত এর দেখা মেলে না।”
ঢাকা/আজিজ/এস