সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরি করার চিন্তা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের।

বুধবার চারটি সংস্কার কমিশনের সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর বিকেলে এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

“এক মাসের মধ্যে আমরা একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে সক্ষম হব বলে মনে করি,” বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রস্তুত, বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক’

ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন শেখ হাসিনা
ড.

ইউনূসের সফর ঘিরে জেনেভায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা আ.লীগের

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “সংস্কার কমিশনের এই রিপোর্টগুলো নিয়ে কমিশন প্রধানরা বসে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। এ জন্য আগামীকালই একটা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছয়টি কমিশনের মেয়াদ আরো একমাস বাড়িয়ে দেওয়া হবে।”

বুধবার চার কমিশনের সুপারিশ জমা হয়েছে। বাকি দুটির সুপারিশমালা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জমা হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশন রিজওয়ানা হাসান। তবে তিনি এ-ও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্যের ভিত্তিতেই সুপারিশমালা বাস্তবায়নে হাত দেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

“রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু দাবি আছে, জনগণেরও কিছু দাবি আছে। উভয় পক্ষের কিছু যৌথ দাবি আছে। আমরা একমাসের মধ্যে একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে সক্ষম হব বলে মনে করি।”

ঢাকা/হাসান/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র পর ব শ র জওয় ন উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ