সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের রোডম্যাপ এক মাসের মধ্যে: রিজওয়ানা
Published: 15th, January 2025 GMT
সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরি করার চিন্তা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের।
বুধবার চারটি সংস্কার কমিশনের সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর বিকেলে এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
“এক মাসের মধ্যে আমরা একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে সক্ষম হব বলে মনে করি,” বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রস্তুত, বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক’
ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন শেখ হাসিনা
ড.
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “সংস্কার কমিশনের এই রিপোর্টগুলো নিয়ে কমিশন প্রধানরা বসে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। এ জন্য আগামীকালই একটা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছয়টি কমিশনের মেয়াদ আরো একমাস বাড়িয়ে দেওয়া হবে।”
বুধবার চার কমিশনের সুপারিশ জমা হয়েছে। বাকি দুটির সুপারিশমালা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জমা হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশন রিজওয়ানা হাসান। তবে তিনি এ-ও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্যের ভিত্তিতেই সুপারিশমালা বাস্তবায়নে হাত দেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
“রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু দাবি আছে, জনগণেরও কিছু দাবি আছে। উভয় পক্ষের কিছু যৌথ দাবি আছে। আমরা একমাসের মধ্যে একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে সক্ষম হব বলে মনে করি।”
ঢাকা/হাসান/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র পর ব শ র জওয় ন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’