টিউলিপকে নিয়ে পার্লামেন্টে প্রশ্নের মুখে স্টারমার
Published: 15th, January 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ ঘিরে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। আজ বুধবার বিষয়টি পার্লামেন্টে তোলেন বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি বেইডনক।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মুখে গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিটি মিনিস্টার হিসেবে পরিচিত টিউলিপ আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমনের দায়িত্বে ছিলেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফ ও বিবিসির
যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ ঘিরে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। আজ বুধবার বিষয়টি পার্লামেন্টে তোলেন বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি বেইডনক।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মুখে গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিটি মিনিস্টার হিসেবে পরিচিত টিউলিপ আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমনের দায়িত্বে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন টিউলিপ। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে স্টারমার বলেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে আমি আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছি।’
বিরোধীদলীয় নেতা বেইডনক বলেন, ‘নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পদত্যাগে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) গভীর দুঃখ পেয়েছেন বলে গতকাল বলেছেন। তার এমন মন্তব্য আমাদের কী বার্তা দেয়? আর ঘটনাটি ছিল দুর্নীতি দমনের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবং দুর্নীতির ফৌজদারি তদন্ত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বেইডনক বলেন, ‘বাংলাদেশের (প্রধান) উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সাবেক সিটি মিনিস্টারকে উপহার দেওয়া লন্ডনের সম্পত্তি (ফ্ল্যাট) লুটপাটের অর্থে কেনা হতে পারে।’
যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘তাই কোনো সম্পত্তি চুরি করা অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে কি না, তার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করতে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে পুরোপুরি সহায়তার প্রস্তাব দেবেন কি না?’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, ‘সাবেক সিটি মিনিস্টার নিজের বিষয়টি স্বাধীন উপদেষ্টার (লাউরি ম্যাগনাস) কাছে তুলে ধরেছেন। ওই উপদেষ্টা এমনকি তিনি (টিউলিপ) নিজেও জানেন, এখানে কোনো বিধি লঙ্ঘন করা হয়নি। তিনি (টিউলিপ) জানেন, এখানে কোনো অনিয়ম পাননি উপদেষ্টা। এ বিষয়ে পুরোপুরি সহযোগিতা করছেন সাবেক সিটি মিনিস্টার।’
সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে, আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট উপহার নেন টিউলিপ। লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড এলাকায় একটি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা ফ্ল্যাটে কয়েক বছর ধরে বসবাস করেন টিউলিপ। ওই সময় নিজের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ওই ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এ নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিধিবিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লাউরি ম্যাগনাস তদন্ত করেন। গতকালই প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, তদন্তে টিউলিপের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো, বাংলাদেশে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকির ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র পদত য গ উপদ ষ ট গতক ল তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।