রাজশাহী কলেজে স্থানীয় ঐতিহ্য, সাহিত্য ও শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপি তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ শুরু হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী। উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এবারের তারুণ্যের উৎসবের অঙ্গিকার, শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ, পরিবেশ সুরক্ষায় পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন, স্যোশাল বিজনেস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা প্রদান।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

মো. ইব্রাহিম আলী। এছাড়াও রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. গোলাম কিবরিয়ার সঞ্চলনায় সভাপতির বক্তব্যে কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন ও উদ্যমী হয়ে উঠতে হবে। বর্তমানে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার আমাদের পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে আমাদের বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণের দিকে নজর বৃদ্ধি করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীরা সচেতন ও উদ্যমী হলে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হবে।”

ঢাকা/ফারজানা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’

মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।

‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।

নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।

১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্কার: সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
  • সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
  • টিএসসিতে সংগীত উৎসব
  • রমজানে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল
  • মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’