ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নারায়ণগঞ্জ জেলার ২টি সামাজিক উদ্যোগ (Social Action Plan- SAP)এবং জেলা কমিটির কার্যক্রম পরিদর্শন করেছে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর একটি প্রতিনিধি দল।

১৫ জানুয়ারি, নারায়ণগঞ্জের বার্মাস্ট্যান্ড, আদমজীতে ভোটাধিকার সচেতনতা নিয়ে কাজ করা “My Vote My Rights” টিম এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে তথ্য অধিকার নিয়ে কাজ করা “Youth For Health Rights” টিম এর কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিদল এবং এনইডি'র প্রতিনিধি।

এসময় নাটিকার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে সম্পৃক্তকরণে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন এনইডির প্রোগ্রাম অফিসার শিরিন তাহের, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের মনিটরিং ইউনিটের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ট্রেনিং বিভাগের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ও প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর তুহিন আফসারী, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক এর মনোয়ারা বেগম, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক সদস্য ইকবাল হোসেন বিজয়, সুজন বন্ধু'র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জারিফ অনন্ত।

এছাড়াও ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী বিজয়া ইসলাম, যুগ্ম জেলা সমন্বয়কারী রাকিবুল ইসলাম ইফতি, কর্মশালা সম্পাদক মাহমুদ সারোয়ার সহ আরো অনেকে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ হ ঙ গ র ন র য়ণগঞ জ জ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিশেষ শিশুদের পাশে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ‘ভিন্নতা নয়, সম্ভাবনার প্রতীক অটিজম’

১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সহানুভূতির এক উষ্ণ বার্তা। ‘তারা আলাদা, তবে আমাদেরই মতো’-এই চেতনায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠান।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

তার মানবিক ভাষণে উঠে আসে বিশেষ শিশুদের প্রতি সমাজের দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা।“ তারা কোনভাবেই সমাজের বোঝা নয়,” বললেন জেলা প্রশাসক। “তাদের মাঝেও আছে সম্ভাবনার আলো। আমাদের দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো, সাহচর্য ও সহমর্মিতায় তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে দেওয়া।”

ডিসি আরও বলেন, “সূর্যের যেমন তাপ না থাকলে তার মূল্য নেই, তেমনি মানবতাহীন সমাজও মূল্যহীন। তাই মানবতা দিয়েই বদল আনতে হবে দৃষ্টিভঙ্গির।”

রালিটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।  রেলিতে অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) মো. আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সরদারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন এনজিও, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অটিজম পরিবারের সদস্যরা।

আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয় ১১ জন অটিজম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাঝে। জেলা প্রশাসক নিজ হাতে উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেন এই সহায়ক যন্ত্রটি। উপস্থিত অনেকেই চোখের জল লুকাতে পারেননি সে সময়।

“এই সন্তানরা সমাজের সম্পদ। যদি আমরা পাশে দাঁড়াই, সঠিক সুযোগ দিই তবে তারাও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে,” বলেন জেলা প্রশাসক। তিনি সমাজের বিত্তবান ও সচেতন মানুষদের অটিজম আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

এই কর্মসূচি শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং একটি মানবিক বার্তা ভিন্নতাই যে সৌন্দর্য, আর সহানুভূতিই যে প্রকৃত উন্নয়নের মূল ভিত্তি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দর থানা (মহানগর) জাসাস’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
  • স্ত্রীকে হত্যার পর ছুরি হাতে লাশের পাশে বসেছিলেন রব মিয়া
  • পেশাজীবী গাড়িচালকদের রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • আড়াইহাজারে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা, স্বামী আটক
  • নারায়ণগঞ্জে আগুনে ঝুটের গুদাম ও এমব্রয়ডারি কারখানা পুড়ে গেছে
  • আ’লীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে জাকির খানের মিছিল ও সমাবেশ
  • আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ পাঁচ সহযোগী রিমান্ড শেষে কারাগারে  
  • বিশেষ শিশুদের পাশে নারায়ণগঞ্জ ডিসি ‘ভিন্নতা নয়, সম্ভাবনার প্রতীক অটিজম’
  • রিমান্ড শেষে কারাগারে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও ৫ সহযোগী
  • বিশেষ শিশুদের পাশে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ‘ভিন্নতা নয়, সম্ভাবনার প্রতীক অটিজম’