নবাগত ডিসি ও এসপির সাথে ইসলামী আন্দোলনের সাক্ষাৎ
Published: 15th, January 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও পুলিশ সুপারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুওে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাত করেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাও.
অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, নগর প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক বিলাল খান, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাও. সাইয়্যেদ রিদওয়ান, জেলা যুব আন্দোলন সভাপতি মুহা. যোবায়ের, শ্রমিক নেতা মুহা. ওমর ফারুক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এসময় নেতৃবৃন্দ নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞাকে সংগঠনের প্রকাশনা হাদিয়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং কুশল বিনিময় করেন।
নেতৃবৃন্দ পুলিশ প্রশাসক প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সাহেবকে নগর সহ-সভাপতি নুর হোসেনর উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করার অনুরোধ করেন এবং এসপি মহোদয় এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে ডাকাতির ঘটনায় আরো এক জনকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ
শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় আরো এক ডাকাতকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় একটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ হয়।
শনিবার (১ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতির ঘটনায় মোট আটজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন।”
আরো পড়ুন:
শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে ২ ডাকাতের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ ৪
টঙ্গীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
আরো পড়ুন: শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে ২ ডাকাতের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ ৪
এদিকে, ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জের মহেষপুর এলাকার সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে রাকিব গাজী (৩৮), একই জেলার কালিরচর এলাকার বাচ্চুর ছেলে রিপন (৪০), শরীয়তপুরের জাজিরার কুণ্ডেরচর এলাকার মোহাম্মদ দেওয়ানের ছেলে আনোয়ার দেওয়ান (৫০) ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকার হারুন তালুকদারের ছেলে সজিব তালুকদার (৩০)। এদের মধ্যে রিপন ও সজিব তালুকদার গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছেন।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতরা। পরে তাদের ট্রলার নিয়ে ধাওয়া দেয় স্থানীয়রা। এসময় ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় যায়। সেখানে তাদের গতিপথ বাল্কহেড দিয়ে রোধ করেন স্থানীয়রা। এসময় ডাকাতরা পুনরায় হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আহত হন কয়েকজন। পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় সাতজনকে আটকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আজ শনিবার সকালে আরো এক ডাকাতকে গণপিটুনি শেষে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই ঘটনায় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে চারজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতির ঘটনায় একটি কাটা রাইফেল ও শর্টগানসহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ